ওয়ানডেতে কোহলিকে ‘প্রায় ছাড়িয়ে গেছেন বাবর’
দুজনের মধ্যে কে সেরা?
তিন সংস্করণে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংটা দেখা যায়। ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বাবর আজম শীর্ষে। কোহলি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে তিনে, টি–টোয়েন্টিতে শীর্ষ দশেও নেই, ২১তম। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়েও কোহলির চেয়ে এগিয়ে বাবর।
পাকিস্তান অধিনায়ক চারে, কোহলি দশে। অর্থাৎ তিন সংস্করণের ক্রিকেটেই এখন কোহলির চেয়ে এগিয়ে বাবর।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে দারুণ সময় যাচ্ছে পাকিস্তান তারকার। ওয়ানডেতে দ্বিতীয়বারের মতো টানা তিন ইনিংসে শতকের রেকর্ড গড়েছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, বাবর এই সংস্করণে কোহলির চেয়ে এগিয়ে কি না? ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক পেসার এবং ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ প্রশ্নটির উত্তরে বলেছেন, ৫০ ওভারের ক্রিকেটে সেরা হওয়ার পথে কোহলিকে প্রায় ছাপিয়ে গেছেন বাবর।
২০০৮ সালে ওয়ানডেতে অভিষিক্ত কোহলি এ সংস্করণে ২৬০ ম্যাচ খেলে ৫৮.০৭ গড়ে ১২৩১১ রান করেছেন। বাবর ২০১৫ সালে ওয়ানডেতে অভিষিক্ত হয়ে ৮৯ ম্যাচে করেছেন ৪৪৪২ রান। ব্যাটিং গড়ে (৫৯.২২) কোহলির চেয়ে এগিয়ে। দুজনের মধ্যে তুলনাটা আজকের নয়। তিন সংস্করণেই তুলনাটা চলে।
ক্রিকউইকের সঙ্গে আলাপচারিতায় ওয়ানডেতে বাবর–কোহলির মধ্যে তুলনাটা করেন ইয়ান বিশপ, ‘বাবর আজম কিংবদন্তি হওয়ার পথে। অন্তত সাদা বলে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে কথাটা পরিষ্কার করে বলাই যায় “কিংবদন্তি হওয়ার পথে।” গ্রেট—শব্দটা আমি হালকাভাবে ব্যবহার করি না। এটার ব্যাপ্তি ও গভীরতা আরও বেশি। কিন্তু ওর গড় ষাট ছুঁই ছুঁই, সঙ্গে শতক ১৭টি। সে তার পাশের প্রতিবেশী কোহলিকে প্রায় টপকেই গেছে। বলা যায়, ৫০ ওভারে সে কাঙ্ক্ষিত ব্যাটসম্যান হয়ে ওঠার পথে।’
বাবরের টেস্ট ব্যাটিং নিয়েও কথা বলেছেন বিশপ, ‘টেস্ট ক্রিকেটে সে উন্নতি করছে। ভালো করতে শুরু করেছে। কৌশলগতভাবে সে দুর্দান্ত। ভবিষ্যতে আমি মনে করি সেরা তিন–চার খেলোয়াড়ের মধ্যে ওর নাম উচ্চারিত হবে।’
গত মার্চে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ২–১ ব্যবধানে জেতে পাকিস্তান। এরপর জুনে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়ানডে সিরিজে ৩–০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে বাবরের দল। এ দুই সিরিজে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন বাবর। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ দুই ওয়ানডে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে শতক তুলে নেন। দ্বিতীয় ম্যাচে আউট হন ৭৭ রানে।