এমন দিনেও যে কারণে ‘খুবই খুশি’ সাকিব
৩২.৫ ওভার ব্যাটিং করেই গুটিয়ে যাওয়া, এরপর ৪৮ ওভার বোলিং করে প্রাপ্তি ২ উইকেট। এমন দিনে অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানের খুব একটা তৃপ্তি হয়তো থাকার কথা নয়। তবে অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলছেন, এমন দিনেও তিনি ‘খুবই খুশি’।
সাকিব খুশি মূলত তাঁর পেসারদের পারফরম্যান্সের কারণে। অ্যান্টিগার এ উইকেটে ঘাসের উপস্থিতি বেশ উল্লেখযোগ্য, আছে অসমান বাউন্সও। সে সব কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ পেসাররা করেছেন বেশ আঁটসাঁট বোলিং। বলতে গেলে সহজ কিছুই বিলিয়ে দেননি উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের।
তিন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান, খালেদ আহমেদ ও ইবাদত হোসেন মিলে করেছেন ৩৩ ওভার, তবে রান দিয়েছেন মাত্র ৪৩। মানে ওভারপ্রতি তাঁরা গড়ে খরচ করেছেন প্রায় ১.৩০ রান করে। দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনে তাই পেসারদের প্রশংসা আলাদা করেই করলেন সাকিব, ‘আমার মনে হয় পেস বিভাগ খুবই ভালো বল করেছে। জুটিতে ভালো বল করেছে (ওরা)। মোস্তাফিজ দারুণ ছিল। খালেদও অনেক ভালো বল করেছে নতুন বলে। ইবাদত সবসময় ভালো বল করছে (সাম্প্রতিক সময়ে)। তিনজনই ভালো করেছে।’
বোলারদের, বিশেষ করে পেসারদের এমন পারফরম্যান্সের পেছনে লড়াই করার তাড়না কাজ করেছে বলেই মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সাকিব বলেছেন, ব্যাটিংয়ে চরম হতাশার পর দলের সামনে দুইটি রাস্তা খোলা ছিল, ‘একটা হচ্ছে ছেড়ে দিয়ে ওদের যত ইচ্ছা রান করতে দেওয়া। তারপর আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার পর খেলা শেষ হয়ে গেল। আরেকটা হচ্ছে আমরা চেষ্টা করলাম। যদি ওদের এক শ, দেড় শ, দুই শ-র ভেতরে অলআউট করতে পারি, এমনকি আড়াইশর ভেতরে অলআউট করতে পারি। তখন আমরা যদি দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাটিং করি, শেষ ইনিংসে এখানে কী হবে, আমরা তো জানি না। প্রতিদিনই নতুন একটা দিন। সেই সুযোগটা আমাদের ছিল।’
এমন দিনেও তাঁর ‘আনন্দের’ কারণ সেটিই, ‘আজকের দিনে আমি খুবই খুশি। আমি খুবই খুশি যে পুরো দল সেটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। চেষ্টা করেছে যদি আমরা এমন কোনো বোলিং পারফরম্যান্স দিতে পারি…যেটা আমরা ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে পাইনি।’ বোলিং নৈপুণ্যের দিনে ফিল্ডিং নিয়েও কিছুটা আক্ষেপ আছে সাকিবের, ‘কিছু হাফ-চান্স ছিল। সেগুলো নিতে পারলে পেসারদের জন্য “পারফেক্ট” একটা দিন হতো। যেটা আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই পাইনি। ওরা একটু দুর্ভাগা। আরও দুটি উইকেট পেলে হয়তো আমরা আরও ভালো অবস্থানে থাকতাম।’
সে অবস্থানটা কী, সেটিও ব্যাখ্যা করেছেন সাকিব, ‘যদি ১০০ রানে ৪ উইকেট থাকত, তাহলে কাল আরও ১০০ রানের মধ্যে ওদের অলআউট করলে আমরা ম্যাচে থাকতাম। এখনো হবে না তা বলছি না। ওদের যেহেতু বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান রয়েছে, আমাদের এই কাজটা কালকেও করতে হবে। এটাই আমাদের বোলারদের চ্যালেঞ্জ হবে, উইকেট দেখে মনে হচ্ছে কাল আরও ভালো হবে। সেখানে আমরা কতোটা ডিসিপ্লিন ধরে রেখে বল করতে পারি সেটাই চ্যালেঞ্জ।’
সে চ্যালেঞ্জটা দ্বিতীয় দিন বোলাররা নিতে পারলে নিশ্চয়ই আরও বেশি খুশি হবেন সাকিব!