এক ওভারেই আল-আমিনের ৫ উইকেট!

আল-আমিন
আল-আমিন

অবিশ্বাস্য! অভূতপূর্ব! এমন ঘটনা প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে আগে কখনো ঘটেছে কি না, কে জানে। আজ সেটিই ঘটিয়ে ফেললেন আল-আমিন। আজ সিলেটে আবাহনীর বিপক্ষে এক ওভারেই পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন ইউসিবি-বিসিবি একাদশের হয়ে খেলা এই পেসার। পরে অধিনায়ক তামিম ইকবালের ৬১ রানের সৌজন্যে ম্যাচটিও ২ উইকেটে জিতেছে ইউসিবি-বিসিবি একাদশ।
আবাহনীর শেষ ওভার ছিল সেটি। ১৯ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪১ রান তুলেছিল আবাহনী। হাতে ৫ উইকেট। আবাহনীর নিশ্চয়ই লক্ষ্য ছিল ঝড় তুলে শেষ ওভারে যত বেশি রান বাড়িয়ে নেওয়া যায়। উল্টো তারাই আল-আমিন নামের টর্নেডোতে লন্ডভন্ড।
এর আগে ৩ ওভারে ১৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য আল-আমিন ওই ওভারের প্রথম বলে মেহেদি মারুফকে বানালেন আরাফাত সানির ক্যাচ। দ্বিতীয় বলে দুই রান। তখনো বোঝা যায়নি, কী ঘটতে চলেছে শেষ চারটি বলে। ওভারের তৃতীয় বলে নাজমুল মিলন, চতুর্থ বলে সোহরাওয়ার্দী শুভ, পঞ্চম বলে নাঈম ইসলাম জুনিয়রকে আউট করলেন। হয়ে গেল হ্যাটট্রিক। কিন্তু তখনো বাকি ছিল আল-আমিনের উইকেট-ক্ষুধা। ওভারের শেষ বলে আউট নাবিল সামাদ। টানা চার বলে চারটি উইকেট! ক্রিকেটের পরিভাষায় যাকে বলে ‘ডাবল হ্যাটট্রিক’। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে ডাবল হ্যাটট্রিকের কৃতিত্ব আছে কেবল একজনের—শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গার।
আল-আমিনের এই কৃতিত্ব যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নয়, কিন্তু তিনি যা করলেন, তা মালিঙ্গাও পারেননি। ওভারের ছয় বলের পাঁচটিতেই তুলে নিলেন উইকেট! পাঁচ ব্যাটসম্যানই একইভাবে আউট হয়েছেন। ক্যাচ দিয়েছেন ফিল্ডারের হাতে। ১৯ ওভার শেষে যে আবাহনীর স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ১৪১, তারাই শেষ পর্যন্ত ১৪৩ রানে অলআউট! সব মিলে ১৭ রানে ৫ উইকেট নিলেন আল-আমিন।
ইউসিবি-বিসিবি একাদশের জয়টাও সহজ হয়নি। যদিও মনে হচ্ছিল সহজ জয়ই পাবে তারা। ১৮ ওভার শেষে তাদের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ১৩১। হাতে ৫ উইকেট রেখে ১২ বলে তাদের দরকার ছিল ১৩ রান। কিন্তু পরের ৫ রান তুলতেই তারা হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ১ বল বাকি থাকতে ২ উইকেটের জয় পায় তামিমের দল। ৫২ বলে ৬১ করার পথে ছয়টি চার ও দুটো ছক্কা হাঁকিয়েছেন তামিম। তবে জয়ের নায়ক আল-আমিনই।
এমন অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটানোর পর তাঁর ম্যাচসেরা না হওয়াটা হতো আরও বিস্ময়কর!