উজ্জ্বল তাইজুলে কিছুটা স্বস্তি বাংলাদেশের
পোর্ট এলিজাবেথে সমন্বিত বোলিং পারফরম্যান্সটা এখনো আশা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশের, তবে দলে ফেরা তাইজুল ইসলামের সৌজন্যে বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় সেশনটা অপেক্ষাকৃত ভালো কেটেছে সফরকারীদের। অর্ধশতক করা ডিন এলগার ও কিগান পিটারসেনকে ফিরিয়েছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের দ্বিতীয় সেশন দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ করেছে ৩ উইকেটে ১৯৯ রান তুলে। ৩২ রানে অপরাজিত টেম্বা বাভুমার সঙ্গী রায়ান রিকেলটন ব্যাটিং করছিলেন ৭ রানে। দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত তাইজুল ২০ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।
প্রথম সেশনে সারেল এরউইয়ির উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছিল ১০৭ রান। দ্বিতীয় সেশন ২ উইকেট হারিয়ে তারা তুলেছে আরও ৯২ রান। চারজন বোলার নিয়ে এ টেস্টে নেমেছে বাংলাদেশ, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উজ্জ্বল তাইজুলই।
সেশনের শুরু থেকে একদিকে আঁটসাঁট বোলিং করছিলেন তাইজুল, যদিও অন্যদিকে ইবাদত হোসেনের এলোমেলো বোলিংয়ে চাপ আলগা হয়ে যাচ্ছিল। তাঁকে টানা দুই চার মারা ডিন এলগার অবশ্য ফিরেছেন পরের ওভারে তাইজুলের বলে। ভালো বোলিংয়ের পুরস্কার পান তাইজুল। আগের বলে এলবিডব্লুর আবেদন নাকচ হয়েছিল, তবে ঠিক পরের বলেই অফ স্টাম্পের বাইরে জোরের ওপর করা ডেলিভারিতে খোঁচা দিয়ে কট-বিহাইন্ড হন এলগার। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ফেরেন ৮৯ বলে ৭০ রান করে, এর আগে পিটারসেনের সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ওঠে ৮১ রান।
এলগার ফিরলেও অবশ্য আক্রমণ চালিয়ে গেছেন পিটারসেন, ইবাদতকে মারেন টানা তিন চার। এর মধ্যে তৃতীয়টি দিয়ে সাত টেস্টের ক্যারিয়ারের চতুর্থ অর্ধশতকটি পান, মাইলফলকে যান ৭৪ বলে। তবে বৃষ্টির কারণে ছন্দপতন হয় তাঁর। প্রথম দফা বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ ছিল ২৫ মিনিট, পরে আরেকবার ঝিরঝির বৃষ্টি নেমেছে, তবে আম্পায়াররা খেলা বন্ধ করেননি আর।
সে বিরতির পর স্বাগতিকদের রানের লাগাম টেনে ধরে বাংলাদেশ। সে সময় ১০ ওভারে ওঠে মাত্র ১৬ রান। অবশ্য এরপর দুই ওভারে আসে দুটি বাউন্ডারি, তবে পিটারসেনের উইকেটটাও পেয়ে যায় বাংলাদেশ। তাইজুলের বলে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে গিয়ে খেলতে গিয়ে মিস করেন পিটারসেন, আম্পায়ার আলাউদ্দিন পালেকারের নট-আউটের সিদ্ধান্ত রিভিউ করে বাংলাদেশ। ১২ সেন্টিমিটারের জন্য ইমপ্যাক্টে আম্পায়ারস কল হয়নি, বাংলাদেশ পায় তৃতীয় উইকেট, তাইজুল পান নিজের দ্বিতীয়টি। পিটারসেন করেন ১২৪ বলে ৬৪, প্রথম শতকের অপেক্ষা আরেকটু বাড়ল তাঁর।
বাভুমার সঙ্গে রায়ান রিকেলটন অবিচ্ছিন্ন থেকেই গেছেন চা-বিরতিতে। প্রথম রান করার জন্য ১৭তম বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে রিকেলটনকে, সামনে এসে তাইজুলকে মারা চারের শটেও অবশ্য খুব বেশি নিয়ন্ত্রণ ছিল না এ বাঁহাতির।