সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দলের উদ্বোধনী জুটি থেকে এসেছিল ৯৫ রান। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুজনই পেয়েছিলেন অর্ধশত। বাংলাদেশ দলেরও শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে উঠেছিল ৯৫ রান। জোহানেসবার্গে এসে সেই টপ অর্ডারই ধসে পড়ল ৭.১ ওভারের মধ্যেই। ২৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দ্রুতই সেটি পরিণত হয় ৩৪/৫–এ।
ঠিক এই সময়ই ধারাভাষ্যকার হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং–দাপট আর বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের করুণ অবস্থার ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন নিল ম্যাকেঞ্জি। সাবেক এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান দুই বছর আগেই বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ ছিলেন। সাকিব-তামিমদের ব্যাটিং সম্পর্কে খুব ভালোই জানাশোনা তাঁর।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করতে যাওয়া বাংলাদেশি সাংবাদিকেরাও তাই ম্যাকেঞ্জির কাছে বাংলাদেশের ব্যাটিং–ধসের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলেন। সেখানে ব্যাটসম্যানদের ভুল না খুঁজে বরং ওয়ান্ডারার্সের উইকেটকে দুষলেন সাবেক এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান, ‘বল উঁচু–নিচু হচ্ছিল। ভালো লেংথ থেকে বল লাফিয়ে উঠেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যাটিং মানে এমনই। ওয়ান্ডারার্সে এখন অসমান বাউন্স থাকে। ওয়ানডের জন্য হয়তো আদর্শ উইকেট নয়। সেদিক থেকে কোনো ব্যাটসম্যানই ভুল করেনি। এসবের পেছনে কারণ উইকেটের আচরণ।’
সাকিব-তামিমদের আউটের উদাহরণ টেনে ম্যাকেঞ্জি বলছিলেন, ‘এমন ব্যাটিংয়ে আমি অবাক হইনি। এটা উইকেটের কারণে হয়েছে। ওরা কীভাবে আউট হয়েছে, দেখতে হবে। লিটন বাউন্সার থেকে বাঁচতে গিয়ে আউট হয়েছে। তামিম ইকবাল বাড়তি বাউন্সে পরাস্ত হয়েছে। সাকিব যা করতে চেয়েছে, সাধারণত সেটিই করা উচিত ছিল। মুশফিকের কী করার ছিল, বলটি নিচু হয়ে গিয়েছে। আমার দৃষ্টিতে ওরা ভুল কিছু করেনি। এটা উইকেটের কারণে হচ্ছে। এটাই ক্রিকেট। আপনাকে ভিন্ন উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’
বাংলাদেশের অবশ্য এমন অধারাবাহিক উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সুযোগ ছিল। ওয়ান্ডারার্সের অতীত রেকর্ডও বলে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং অনেকটাই সহজ হয়। কিন্তু টসে জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম।
এ ব্যাপারে ম্যাকেঞ্জিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলছিলেন, ‘পরিসংখ্যান বলে এই মাঠে বোলিং আগে করে পরে রান তাড়া করা উচিত। উইকেট কিন্তু শুকনো। দক্ষিণ আফ্রিকা দুই স্পিনার নিয়ে খেলছে। সাধারণত এই মাঠে দুই স্পিনার নিয়ে কেউ খেলে না। বাংলাদেশ সাধারণত দেশের বাইরে স্কোরবোর্ডে রান তুলে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে ম্যাচ জেতার চেষ্টা করে, যেটা তারা প্রথম ম্যাচে করেছিল।’