অস্ট্রেলিয়ার চিন্তা বাড়িয়ে দিলেন মিচেল স্টার্ক
অস্ট্রেলিয়ার বোলিং বিভাগের নেতা তিনি, এমনটা বললেও হয়তোবা অত্যুক্তি করা হবে না। বিশেষ করে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বল হাতে মিচেল স্টার্ক কী করেন না করেন, তাঁর ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে অস্ট্রেলিয়ার ভাগ্য। ভারতের বিপক্ষে চলতে থাকা টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও শুরুতেই ওপেনার শিখর ধাওয়ানের উইকেট নিয়ে ঝামেলায় ফেলে দিয়েছিলেন সফরকারীদের। ডেথ ওভারে তুলে নিয়েছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দরের উইকেটটা। সেই স্টার্ককেই সিরিজের বাকি দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাবে না অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়া অস্ট্রেলিয়াকে সিরিজ জেতার জন্য পরের দুই টি-টোয়েন্টিতে যেকোনো মূল্যে জিততেও হবে। এমন অবস্থায় স্টার্কের সরে দাঁড়ানোটা বেশ বড়সড় একটা ধাক্কা হিসেবেই এসেছে। আজ সকালেই আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাপারটা সবাইকে জানিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, পরিবারের একজনের অসুস্থতার কথা জানতে পেরে দল ছেড়েছেন এই পেসার। তবে স্টার্কের পরিবারের কে অসুস্থ, সেটা খোলাসা করে বলেনি অস্ট্রেলিয়া। বিবৃতিতে দলের কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার স্টার্কের পাশেই দাঁড়িয়েছেন, ‘এই বিশ্বে পরিবারের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই। এ ক্ষেত্রে মিচও (স্টার্ক) ব্যতিক্রম নয়। ওর যত সময় লাগে লাগুক, ও যখন দলে ফিরে আসবে, ও যখন মনে করবে ও বা ওর পরিবারের জন্য এই সময়টা ফিরে আসার জন্য উপযুক্ত, ও সেই সময়েই ফিরে আসতে পারবে। আমরা সানন্দে ওকে আবার স্কোয়াডে গ্রহণ করব।’
টি-টোয়েন্টি সিরিজে এমনিতেই প্যাট কামিন্স ছিলেন না। এখন স্টার্কও ‘নাই’ হয়ে গেলেন। সিরিজ জেতার জন্য বলতে গেলে একটু নবীন পেসারদের দিকেই ভরসা রাখতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। স্টার্কের বিকল্প হিসেবে দলে কাউকে ডাকেনি অস্ট্রেলিয়া। জশ হ্যাজলউডের পাশাপাশি স্কোয়াডে থাকা শন অ্যাবট, মোজেস হেনরিকেস, অ্যান্ড্রু টাই ও ড্যানিয়েল স্যামসের ওপরেই ভরসা রাখছে তাঁরা। টাই বিক্ষিপ্তভাবে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৬ টি-টোয়েন্টি খেললেও স্যামসের এখনো অভিষেকই হয়নি। টাই শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন আবার সেই ২০১৮ সালের নভেম্বরে, এই ভারতের বিপক্ষেই। ওদিকে আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ছিলেন স্যামস।
আজ বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা ১০ মিনিটে সিডনিতে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। আজ জিতলেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতা নিশ্চিত হয়ে যাবে ভারতের।