অভিনব কায়দায় রোনালদোর রাতের ঘুম হারাম!
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো একবার ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে জানালাতেই উঁকি দিলেন! কাঁহাতক আর সহ্য করা যায়! পরদিন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। ঘুমাতে হবে তো, নাকি! কিন্তু রোনালদোকে ঘুমোতে না দেওয়াই তো তাঁদের উদ্দেশ্য। আর তা করতে একটু বাঁকা পথ বেছে নিয়েছিলেন ইরান–সমর্থকেরা।
দেখলে মনে হবে নিছক গানবাজনায় মেতেছেন ইরান–সমর্থকেরা। কিন্তু খানিক পরে সন্দেহ জাগে, কেন এমন বুনো উল্লাস? গত ম্যাচেই তো স্পেনের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারল ইরান। দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া নিয়েও রয়েছে সংশয়। রাত-বিরাতে এমন ঢাকঢোল পিটিয়ে পাড়া মাতাতে হবে কেন? একটু খোঁজ নিতেই বেরিয়ে এল উত্তর।
গতকালকের কথা। রাশিয়ায় সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নেমে এসেছে। মেরকিউর হোটেলে পর্তুগাল দলের সবাই ঘুমের আয়োজনে ব্যস্ত। পরদিন পর্তুগাল-ইরান ম্যাচের ওপরই নির্ভর করছে দুই দলের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া না-যাওয়া। সবার ঘুম ভালো হওয়া চাই। এমন সময় পর্তুগাল হোটেলের নিচে জড়ো হন এক দল ইরান–সমর্থক।
পর্তুগালের কাছে যে ইরান শক্তিতে পিছিয়ে, তা সমর্থকদের ভালো করেই জানা। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ইরানকে আজ জিততেই হবে। পর্তুগাল ড্র করলেও চলে যাবে। তা ছাড়া পর্তুগালের আছে এক রোনালদো। একাই এক শ! সমর্থকেরা তাই বুদ্ধি বের করল। রাতে ঢোল-বাঁশি নিয়ে অদ্ভুত গানের আসর বসাল রোনালদোরই হোটেল কক্ষের পাশে! যেন রোনালদোসহ পর্তুগাল খেলোয়াড়দের রাতের ঘুম হারাম হয়!
এই অদ্ভুত চেষ্টা কিন্তু মোটেও বিফলে যায়নি। রোনালদোদের বেশ ভুগতে হয়েছে। সমর্থকদের এমন হইহুল্লোড়ে অতিষ্ঠ হয়ে হোটেলের জানালায় পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড নিজেই ইশারা করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ঘুমোতে সমস্যা হচ্ছে। এবার থামলে ভালো লাগে! এই ভিডিও হয়ে গেছে ভাইরাল।
আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় বোঝা যাবে, এই কায়দা করে কতটা লাভ হলো ইরানের। রাতের ঘুমটা ইরান–সমর্থকদের হবে তো!