অবসর ভেঙে টেস্টে ফিরতে পারেন মঈন আলী

টেস্টে ফিরতে পারেন মঈন আলী (মাঝে)ফাইল ছবি

অবসর ভেঙে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে পারেন মঈন আলী। ইংল্যান্ডের নতুন টেস্ট কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের সঙ্গে এ ব্যাপারে এই অলরাউন্ডারের কথাও হয়েছে। মঈনের সঙ্গে আদিল রশিদকেও টেস্ট দলে ফেরানোর ব্যাপারে চেষ্টা করবেন বলেও জানিয়েছেন ম্যাককালাম।

গত সেপ্টেম্বরে টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ইংল্যান্ডের হয়ে ৬৪টি টেস্ট খেলা মঈন। সে সময় টেস্ট ক্রিকেটে মনোযোগ ধরে রাখতে পারছিলেন না, এমন কারণের কথা বলেছিলেন ২৯১৪ রান ও ১৯৫টি উইকেটের মালিক। তবে ম্যাককালাম দায়িত্ব নেওয়ার পর টেস্ট ক্রিকেটেও দিনবদলের কথা উঠেছে ইংল্যান্ড দলকে ঘিরে। অ্যাশেজের পর বাদ পড়া দুই অভিজ্ঞ পেসার জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রডকেও ফেরানো হয়েছে আগামী ২ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে।

গত সেপ্টেম্বরে টেস্ট থেকে অবসর নেন মঈন আলী
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইল এক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ম্যাককালামকে টেস্টে ফেরার ইচ্ছার কথা এরই মধ্যে জানিয়েছেন মঈন, ‘সে ব্রেন্ডনকে (ম্যাককালাম) অনেক সম্মান করে, তার জন্য খেলতে চায়। সব সময়ই ইংল্যান্ডের প্রতি নিবেদিত সে, খেলা চালিয়ে যেতে চায়। যখনই প্রয়োজন, সে সহায়তা করবে।’

এর আগে মঈনের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে ‘ইতিবাচক’ উত্তর দিয়েছিলেন ম্যাককালামও, ‘দেখব আমরা। আমি নিশ্চিত, মো (মঈন) যদি চায়, দলে ফেরার জন্য প্রস্তুত থাকে, তাহলে সে নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে।’
মঈনের মতো অবসর না নিলেও বেশ কিছুদিন ধরেই টেস্ট ক্রিকেটের বাইরে রশিদ। শুধু টেস্ট নয়, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ব্রিজটাউন টেস্টের পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটই খেলেননি এ লেগ স্পিনার। একসময় কাঁধের চোট বেশ ভুগিয়েছে তাঁকে, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে সে সমস্যা নেই রশিদের। ম্যাককালাম ইঙ্গিত দিয়েছেন তাঁকেও দলে ফেরানোর, ‘আদিলের মতো কেউ বছরের প্রতিটি ম্যাচ খেলবে, এমন মনেও হয় না আমার। তবে আমার মানসিকতা হলো, যতি তারা সেরা ক্রিকেটার হয়ে থাকে, তাহলে কেন আলোচনা হবে না। এরপর দেখা যাবে, কী হয়।’

ইংল্যান্ডের নতুন টেস্ট কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম
রয়টার্স

ম্যাককালাম ইতিবাচক জস বাটলার, লিয়াম লিভিংস্টোনের ব্যাপারেও। সর্বশেষ অ্যাশেজের পর টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েন বাটলার। এরপর এ সংস্করণে অনিশ্চিতই হয়ে পড়েন তিনি। আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকে এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান টেস্টে কেন ধারাবাহিকভাবে সফল হতে পারেন না, সেটি নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ম্যাককালাম, ‘জস এমন একজন, যার দিকে তাকিয়েই আপনার মনে হবে—একটা সংস্করণে এতটা দাপুটে একজন কেন কয়েকটা দারুণ পারফরম্যান্স ছাড়া টেস্ট ক্রিকেটে ঠিক পায়ের নিচে মাটি পায় না!’

আরেক হিটার লিভিংস্টোনের অবশ্য টেস্ট অভিষেকই হয়নি। ২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে ডাকা হলেও টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি তিনি। তবে এরপর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বেশ আলোচিত নাম হয়ে উঠেছেন এ ব্যাটসম্যান। টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি তাঁর, সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলেছেন। এবারের আইপিএলেও কমপক্ষে ৪০০ রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট তাঁর।

তবে এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত কোনো প্রথম শ্রেণির ম্যাচ না খেলা লিভিংস্টোনের ব্যাপারে ম্যাককালামের মত, ‘তার টেস্ট ক্রিকেটের ক্ষুধা কেমন, সে আলোচনা হতে হবে। যদি খেলতে আগ্রহী হয়, তাহলে সে কীভাবে দলে ঢোকার পরিকল্পনা করছে? আপনি ভালো ক্রিকেটার হলেই তো দলে ঢুকে যেতে পারবেন না। এটি অর্জন করতে হবে আপনার। সে (টেস্টের জন্য) যথেষ্ট ভালো কি না, এ ব্যাপারে আগে থেকে কিছু বলতে চাই না। তবে তাকে দেখে ভালো ক্রিকেটার মনে হয় আমার। এ ব্যাপারেও আলোচনা হতে পারে।’

তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন বলে যেকোনো সংস্করণেই ভালো করতে পারবেন লিভিংস্টোন, মঈন, রশিদরা—ম্যাককালামের আশা এমন।