২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতুক-হারুক, ম্যাচসেরা হন তিনিই

ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দলের অধিনায়ক হেইলি ম্যাথুসসিএ

করাচিতে নারী দলের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে কাল রাতে পাকিস্তানকে ২ রানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রুদ্ধশ্বাস এ জয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে ক্যারিবিয়ান মেয়েরা।

কাল ম্যাচটি শেষ হতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট দেন ভারতের ফ্রিল্যান্স লেখক ও ক্রিকেট পরিসংখ্যানবিদ কাউসথাব গুদিপাতি। সেই পোস্টে গুদিপাতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দলের অধিনায়ক হেইলি ম্যাথুসের ধারাবাহিকতার অবিশ্বাস্য এক তথ্য দেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ মেয়েদের সর্বশেষ ১১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ১০টিতেই ম্যাচসেরা হয়েছেন ম্যাথুস। এই ১১ ম্যাচের দুটিতে হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হেরে যাওয়া ২ ম্যাচেও সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছে ২৬ বছর বয়সী অলরাউন্ডার ম্যাথুসের হাতে।

যে একটিতে ম্যাথুস ম্যাচসেরা হতে পারেননি, সেটি এবারের পাকিস্তান সফরেরই প্রথম টি-টোয়েন্টি। ওই ম্যাচটি ১ রানে জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন অফব্রেক বোলার কারিশমা রামহারাক।

আরও পড়ুন

ওই ম্যাচের আগে টানা ৮ বার ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন ম্যাথুস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটাই টানা প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হওয়ার বিশ্ব রেকর্ড কি না, তা অবশ্য জানাননি গুদিপাতি।

গুদিপাতির সেই পোস্ট দেখে শুরুতে অবিশ্বাসের ঘোর লেগে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপেরও। বিশপ বিস্ময়ের দুটি ইমোজি ব্যবহার করে মন্তব্য করেন, ‘এক মিনিট অপেক্ষা করুন। আমাকে আগে ফ্যাক্ট চেক করতে দিন।’

আরও পড়ুন

বিশপ পরিসংখ্যানটি যাচাই করে দেখার পর সত্যি প্রমাণিত হলে গুদিপাতির পোস্ট শেয়ার করেন এবং লেখেন, ‘এটা সত্যি। হেইলি (ম্যাথুস) সত্যিই অসাধারণ।’ গুদিপাতি বিশপের সেই পোস্টটির স্ক্রিনশট নিয়ে আবারও পোস্ট করেন, যার ক্যাপশন, ‘দেয়ালে ফ্রেমবন্দী করে রাখার সময় এসেছে। যখন আমার পছন্দের ধারাভাষ্যকার এবং আরও অনেকে এমন মন্তব্য করেন।’

২০২৩ সালে টি–টোয়েন্টিতে ৭০০ রান করেন হেইলি ম্যাথুস, যা মেয়েদের ক্রিকেটের এই সংস্করণে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ
এক্স

২০২২ সালের জুনে স্টাফানি টেলর সরে দাঁড়ালে হেইলি ম্যাথুসকে সব সংস্করণের অধিনায়কের দায়িত্ব দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (সিডব্লুআই)। তাঁর নেতৃত্বে এখন পর্যন্ত ২৭ টি-টোয়েন্টি খেলে মাত্র ১০টিতে জিতেছে ক্যারিবিয়ান মেয়েরা। দলীয় সাফল্য ভালো না হলেও গত বছর ব্যক্তিগত সাফল্যের শিখরে উঠেছিলেন ম্যাথুস। ২০২৩ সালে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে করেছিলেন ৭০০ রান, যা এক পঞ্জিকাবর্ষে কোনো নারী খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ।

আরও পড়ুন

টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ১৫ বার ম্যাচসেরা হয়েছেন ম্যাথুস, যা মেয়েদের এই সংস্করণে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০ বার করে ম্যাচসেরা হয়ে তাঁর ওপরে আছেন সতীর্থ স্টাফানি টেলর ও নিউজিল্যান্ডের সুজি বেটস। মেয়েদের ক্রিকেটে রেকর্ড ৬ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা অস্ট্রেলিয়ার একক আধিপত্য মাঝে ভাঙতে পেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজই। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ক্যারিবিয়ান মেয়েরা। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে অনুষ্ঠিত সেই ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়েছিল টেলরের নেতৃত্বাধীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

২০১৬ নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালেও ম্যাচসেরা হন হেইলি ম্যাথুস (ডানে)। ম্যাথুসের পাশে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক স্টাফানি টেলর
আইসিসি

বলুন তো, ফাইনালে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন কে? হেইলি ম্যাথুস ছাড়া আর কে! বল হাতে শুরুতেই অ্যালিসা হিলিকে আউট করার পর ব্যাট হাতে ৪৫ বলে ৬৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস। ফাইনালসেরার পুরস্কারটা ম্যাথুসেরই প্রাপ্য ছিল।