২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ফ্রান্সকে কোয়ার্টারে অস্ট্রেলিয়া হারালে যে আক্ষেপ ঘুচবে পেরির

অস্ট্রেলিয়া অলরাউন্ডার এলিস পেরিরয়টার্স

আগামীকাল সানকর্প স্টেডিয়ামে ফ্রান্সের বিপক্ষে বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে নামবে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচটি জিতলে নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাফল্য হবে ‘মাটিলডা’দের, কখনোই তারা সেমিফাইনাল খেলেনি এর আগে। সেটি হলে হয়তো একটা আক্ষেপ ঘুচবে এলিস পেরিরও।

ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার পেরি ফুটবলও খেলেছেন, এটি নতুন তথ্য নয় মোটেও। শুধু তো প্রতিনিধিত্ব করেননি, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেছেন বিশ্বকাপও। আইসিসি বিশ্বকাপ ও ফিফা বিশ্বকাপ—দুই আসরেই খেলা প্রথম খেলোয়াড়ও তিনি। ২০০৭ সালে ১৬ বছর বয়সে হংকংয়ের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল তাঁর। ২০১১ সালে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচটি খেলেছিলেন জার্মানির বিপক্ষে।

এমনিতে ডিফেন্ডার হলেও ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলা ১৮টি ম্যাচে ৩টি গোল আছে পেরির। এর একটি ছিল ২০১১ বিশ্বকাপে সুইডেনে। কোয়ার্টার ফাইনালে গোলটি করেন পেরি, যদিও ৩-১ গোলে ম্যাচটি হারে অস্ট্রেলিয়া। এরপর ২০১৫ সালেও কোয়ার্টার ফাইনাল খেললেও শেষ চারে যাওয়া হয়নি। গতবার তো তারা বাদ পড়েছিল শেষ ১৬ থেকেই।

চোটের কারণে আপাতত ক্রিকেটের বাইরে পেরি
রয়টার্স

আরেকবার সেই কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া। এবার নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপ। তার ওপর এখন পর্যন্ত মাটিলডাদের পারফরম্যান্সও দুর্দান্ত। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড, সেখানে ডেনমার্ককে ২-০ গোলে হারিয়ে স্বাগতিকেরা এসেছে কোয়ার্টার ফাইনালে।

ফুটবল ছেড়ে ক্রিকেট বেছে না নিলে হয়তো এ ম্যাচে খেলতে পারতেন পেরিও। তবে সাবেক সতীর্থদের সাফল্য পেরিকে ছুঁয়ে গেছে ঠিকই, ‘আমার মনে হয় না এমন কিছু এর আগে দেখেছি। তারা যে মানের খেলা খেলছে, যেভাবে খেলছে, যে দুর্দান্ত বিনোদন তারা দিচ্ছে!’ সব মিলিয়ে এ টুর্নামেন্টকে দুর্দান্ত মনে হচ্ছে ৩২ বছর বয়সী পেরির, ‘শুধু নিজেদের দলের জন্য নয়, এ খেলার জন্য, নারীদের খেলার জন্য এই মেয়েরা যা করেছে, এটি যুগান্তরী এক টুর্নামেন্ট।’

আরও পড়ুন

অবশ্য এর আগেও নারীদের খেলায় যাঁদের অবদান, সেসব ভুলতে চান না পেরি, ‘এর আগে অনেক ঘটনা আছে। মেয়েদের বিগ ব্যাশ এ দেশে দেখা প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ। আর যেটিকে এখন মনে হয় অনেক দিনের ঘটনা, তবে ২০২০ সালে (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে) এমসিজিতে ৮৬ হাজার দর্শক হয়েছিল।’

মেয়েদের খেলার বিপ্লবটাও টের পাচ্ছেন পেরি, ‘বেশ লম্বা সময় ধরে নারীদের খেলার একটা টেকসই উত্থান হচ্ছে। সমাজ সাম্যের দিকে এগোচ্ছে, তবে আমরাও নারী অ্যাথলেটদের দুর্দান্ত স্কিল ও তাদের অর্জনের মূল্যায়ন করছি।’

২০১৩ সালে সিডনি এফসির হয়ে ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা পেরির আশা, এ বিশ্বকাপের মাধ্যমে ঘরোয়া টুর্নামেন্টের কলেবর আরও বাড়বে অস্ট্রেলিয়ায়, ‘আরও সফল হওয়ার জন্য অসাধারণ এক মঞ্চ পেয়েছি আমরা, অস্ট্রেলিয়ার খেলার চিত্রে আরেকটি ছাপ রাখতে পারে এটি। পণ্যটা প্রস্তুত। এখন শুধু দর্শকদের এসে অসাধারণ একটি সময় উপভোগ করার ব্যবস্থাটা করে দিতে হবে। আমাদের পরের ধাপ হবে স্টেডিয়াম, যাতে ভর্তি করতে পারি।’

আপাতত চোটের কারণে ক্রিকেট থেকেও বিরতি পেরির। গত মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে পাওয়া হাঁটুর চোট থেকে সেরে উঠছেন তিনি। ইংল্যান্ডের দ্য হানড্রেড থেকেও তাই সরিয়ে নিয়েছেন নিজেকে। আগামী সেপ্টেম্বরে ক্রিকেটে ফেরার আশা তাঁর।

তবে এর আগে যে আগামীকালের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার জয়টা খুব করেই চান তিনি, সেটি তো আলাদা করে না বললেও চলে।

আরও পড়ুন