বিএসপিএর বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ ইমরানুর, রানারআপ নাজমুল ও রাকিব
দেশের ক্রীড়া সাংবাদিকদের সবচেয়ে পুরোনো সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) সেই ১৯৬৪ সাল থেকে সেরা ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকদের পুরস্কৃত করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রোববার বিকেলে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক জমকালো অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় ২০২৩ সালের সেরাদের হাতে।
‘কুল-বিএসপিএ বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ ২০২৩’ অনুষ্ঠানে দেশের দ্রুততম মানব ইমরানুর রহমান পেয়েছেন বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের পুরস্কার। বসুন্ধরা কিংস ও জাতীয় ফুটবল দলের উদীয়মান ফুটবলার শেখ মোরছালিন পেয়েছেন পপুলার চয়েজ পুরস্কার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান। এ ছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালন অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু। বিএসপিএ সভাপতি রেজওয়ান-উজ-জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
এ বছর ১৬টি বিভাগে মোট ১৮ জন বর্তমান ও সাবেক ক্রীড়াবিদ, সংগঠক ও সংস্থাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে অর্থ পুরস্কারও।
বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ শ্রেণিতে ইমরানুরের পর রানারআপ হয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। তৃতীয় হয়েছেন কিংস ও জাতীয় ফুটবল দলের ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন। মোরছালিন সমর্থকদের ভোটে সেরা হওয়ার পাশাপাশি বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রীড়াবিদের স্বীকৃতিও পেয়েছেন। বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটার হয়েছেন ফারজানা হক।
বর্ষসেরা খেলোয়াড়দের অন্যান্য শ্রেণিতে সেরা হয়েছেন রাকিব হোসেন (ফুটবল), কামরুন নাহার কলি (শুটিং), সেলিম হোসেন (বক্সিং), ইমরানুর রহমান (অ্যাথলেটিকস), রামহিম লিয়ন বম (টেবিল টেনিস)।
এ ছড়া বর্ষসেরা কোচ হয়েছেন মোহামেডানের আলফাজ আহমেদ। বর্ষসেরা সক্রিয় সংস্থা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেরা সংগঠক হয়েছেন হাবিবুর রহমান, তৃণমূল ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব মোয়াজ্জেম হোসেন (ভারোত্তোলন)। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলকে বর্ষসেরা ক্রীড়া দলের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন ফুটবল সংগঠক মনজুর হোসেন মালু।
বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ ইমরানুর রহমান পুরস্কার পেয়ে নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন এভাবে, ‘সামনে প্যারিস অলিম্পিক, এসএ গেমস আছে। সেখানে ভালো কিছু করতে চাই।’ পপুলার চয়েজ পুরস্কার জিতে যেন একটু অবাকই হয়েছেন মোরছালিন, ‘নাজমুল হোসেন, ফারজানা হক, ইমরানুর রহমানদের পেছনে ফেলে এই পুরস্কার জেতায় আমি বেশ অবাক। বসুন্ধরা কিংস ও জাতীয় দলের হয়ে আরও ভালো খেলতে চাই। যাঁরা আমাকে এই পুরস্কার পেতে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের ধন্যবাদ।’
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ ও বিএসপিএকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে বিএসপিএ এই আয়োজন করে যাচ্ছে। এ জন্য আমার পক্ষ থেকে বিএসপিএকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের খেলোয়াড়, সংগঠকেরা তাদের পরিশ্রম দিয়ে আজকে যে পর্যায়ে এসেছি, তারা ক্রীড়াঙ্গনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’