চ্যাম্পিয়নস লিগ: হার এড়াল আর্সেনাল, শেষ মুহূর্তে জিতল আতলেতিকো
আতালান্তা ০: ০ আর্সেনাল
আতলেতিকো ২: ১ লাইপজিগ
আর্সেনাল এই মুহূর্তে দারুণ ছন্দে থাকা দল। ইউরোপা লিগ জেতা আতালান্তাও যেকোনো দলের জন্য আতঙ্কের নাম। চ্যাম্পিয়নস লিগে এই দুই দল মুখোমুখি হওয়ায় দারুণ লড়াই আশা করেছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা।
সে আশা অবশ্য একেবারেই পূরণ হয়নি। আতালান্তার মাঠে ম্যাচটি শেষ হয়েছে গোলশূন্য ড্রয়ে। সমতায় শেষ হওয়ার চেয়ে অবশ্য দুই দলের রক্ষণাত্মক ফুটবলই বেশি হতাশ করেছে দর্শকদের।
প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণে যায় আর্সেনাল। ৬ মিনিটের মধ্যে অন্তত দুবার আক্রমণে শাণায় তারা। যদিও আক্রমণগুলো গোলের জন্য যথেষ্ট ছিল না। শুরুতে আর্সেনাল দাপুটে ফুটবল খেললেও আতালান্তাও একেবারে পিছিয়ে ছিল না।
আক্রমণের জবাবগুলো তারা দেয় পাল্টা–আক্রমণে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত যে গোল, সেটি পাচ্ছিল না তারাও। অবশ্য দুই দলের খেলায় আগ্রাসী মনোভাবের অভাবও ছিল স্পষ্ট। আক্রমণের চেয়ে রক্ষণেই যেন বেশি মনোযোগ ছিল দুই দলের। এর ফলে যে রোমাঞ্চ আশা করা হচ্ছিল, সেটা দেখা যায়নি।
বিরতির পরপর অবশ্য দৃশ্যপট বদলে যায়। ৪৮ মিনিটে আতালান্তাকে পেনাল্টি উপহার দেয় আর্সেনাল। কিন্তু সেই উপহার লুফে নিতে ব্যর্থ হয় স্বাগতিকেরা। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন মাতেও রেতেগুই। তাঁর শট ঠেকিয়ে দেন আর্সেনাল গোলরক্ষক ডেভিড রায়া। এমনকি ফিরতি হেডেও রেতেগুইকে রুখে দেন এই গোলরক্ষক।
এর ফলে সুযোগ পেয়েও নিরাশ হতে হয় ইতালির ক্লাবটিকে। পেনাল্টি নিয়ে তৈরি হওয়া নাটকীয়তার পর দুই দলই আক্রমণ, প্রতি–আক্রমণে গিয়ে গোল আদায়ের চেষ্টা করে। কিন্তু বক্স ঘিরে তৈরি করা ব্যূহ ভাঙতে পারেনি কেউই।
৭০ মিনিটের পর অবশ্য কিছুটা আগ্রাসী হয়ে খেলার চেষ্টা করে দুই দল। এ সময় উভয়ই গোলের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল, কিন্তু গোল যেন সোনার হরিণ। ম্যাচের শেষ পর্যন্তও যা আর ধরা দেয়নি। ড্র নিয়েই ম্যাচ শেষ করে দুই দল।
অন্য দিকে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও আরবি লাইপজিগের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস এক জয় পেয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। এদিন ম্যাচের ৪ মিনিটেই বেনিয়ামি সেসসকোর গোলে এগিয়ে যায় লাইপজিগ। ২৮ মিনিটে আঁতোয়ান গ্রিজমানের গোলে সমতায় ফেরে আতলেতিকো। এরপর ম্যাচ যখন সমতায় শেষ হওয়ার অপেক্ষায়, তখন ৯০ মিনিটে জোসে মারিয়া হিমেনেজের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আতলেতিকো।
এর আগে আরেক ম্যাচে ফেইনুর্দকে উড়িয়ে দিয়েছে বায়ার লেভারকুসেন। তাদের জয় ৪–০ গোলে। জার্মান চ্যাম্পিয়নের দারুণ ফুটবলের সামনে সুবিধা করে উঠতে পারেনি ফেইনুর্দ। বড় ব্যবধানের হার নিয়েই ফেইনুর্দকে ছাড়তে হয়েছে মাঠ।