২১ বছর পর এই প্রথম...
এ বছর আর রজার ফেদেরারের রেকর্ডে ভাগ বসানো হলো না নাদালের।
করোনাভাইরাসের কারণে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর অন্য কোনো গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয়নি। উইম্বলডন বাতিল করা হয়েছে। পেছানো হয়েছে ফ্রেঞ্চ ওপেন। তবে এ মাসের শেষদিকে ইউএস ওপেন আয়োজিত হবে এমনটা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের মধ্যে নিজেকে ঝুঁকিতে ফেলে এই টুর্নামেন্টে এবার অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রাফায়েল নাদাল।
টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে নাদাল জানিয়েছেন, 'অনেক চিন্তা করার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ বছর ইউএস ওপেন খেলব না আমি। বিশ্বব্যাপী অবস্থা এখন খুবই সঙ্গিন, কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে প্রতিনিয়ত, মনে হচ্ছে এখনো আমরা ভাইরাসটাকে বশে আনতে পারিনি। আমি জানি যে চার মাস ধরে টেনিস না হওয়ার কারণে বাৎসরিক সূচিতে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তা অত্যন্ত বিরক্তিকর। যারা এত কিছুর পরেও টেনিস সূচি শেষ করতে চাইছেন, তাঁদের চেষ্টাকে আমি শ্রদ্ধা জানাই ও ধন্যবাদ দিই। আমরা এর মধ্যে দেখেছি, কোভিডের কারণে মাদ্রিদ ওপেনও বাতিল করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র টেনিস অ্যাসোসিয়েশন, ইউএস ওপেন আয়োজক, এটিপিসহ বিশ্বব্যাপী সকল দর্শকদের প্রতি আমার সম্মান। এ সিদ্ধান্তটা একদমই নিতে চাইনি কিন্তু এবার আমি আমার মনের ডাকে সাড়া দিচ্ছি। এবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র না যাত্রা করলেই বরং ভালো হবে।'
আগস্টের ৩১ তারিখ থেকে নিউ ইয়র্কে ইউএস ওপেন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ফলে ১৯৯৯ সালের ইউএস ওপেনের পর এই প্রথম রজার ফেদেরার বা রাফায়েল নাদাল বিহীন কোনো গ্র্যান্ড স্লাম দেখবে বিশ্ব। ডান হাঁটুতে দুবার অস্ত্রোপচারের কারণে এর মধ্যেই কোর্টের বাইরে ফেদেরার।
গতবার রাশিয়ার দানিল মেদভেদেভকে ৭-৫, ৬-৩, ৫-৭, ৪-৬, ৬-৪ সেটের মহাকাব্যিক এক লড়াইয়ে হারিয়ে ক্যারিয়ারের ১৯তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে নিয়েছিলেন নাদাল। করোনা এসে তাঁর গ্র্যান্ডস্ল্যামের সংখ্যা আর বাড়াতে দেয়নি।
শুধু নাদালই নন, নারী এককের শীর্ষ খেলোয়াড় অ্যাশলি বার্টিও এবার ইউএস ওপেন খেলবেন না। তবে খেলবেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন বিয়াঙ্কা অ্যান্দ্রিস্কু।