সবচেয়ে বেশি ফ্রেঞ্চ ওপেন জয় আর সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্লাম জয়—রেকর্ড দুটি আগেই নিজের করে নিয়েছেন রাফায়েল নাদাল। আজ ‘শিষ্য’ কাসপারকে উড়িয়ে দিয়ে টেনিসের আরও একটি রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন স্পেনের টেনিস তারকা। রুডকে ৬–৩, ৬–৩ ও ৬–০ গেমে হারিয়ে সবচেয়ে বেশি বয়সে গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের রেকর্ড গড়েছেন নাদাল।
লাল দুর্গের রাজা নাদাল। ফ্রেঞ্চ ওপেনে প্রথম শিরোপা জিতেছিলেন ২০০৫ সালে। এরপর টানা আরও তিনটি। এক বছর বিরতি পড়ার পর জিতেছিলেন টানা ৫টি শিরোপা। দুই বছর বিরতির পর আবার টানা চার। যে ধারায় ছেদ পড়ে গত বছর। নাদালকে সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় করে দিয়েছিলেন নোভাক জোকোভিচ। এবার সেই জোকোভিচকে কোয়ার্টার ফাইনালেই হারিয়েছেন। আর কাল রুডকে হারিয়ে ১৪তম বারের মতো লাল দুর্গের মুকুট জিতলেন তর্কযোগ্যভাবে সর্বকালের সেরা টেনিস খেলোয়াড়।
আট বছর আগে নবম ফ্রেঞ্চ ওপেনটা জিতেই মাক্সিম দেকুজিসকে পেছনে ফেলে রোলাঁ গারোর সর্বকালের সেরা হয়ে গেছেন রাফা। আর এ বছরের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে গ্র্যান্ড স্লামে নিজের শিরোপাসংখ্যা নিয়ে গিয়েছিলেন ২১–এ। এবার সেটা হয়ে গেল ২২। রজার ফেদেরার ও জোকোভিচের সঙ্গে ব্যবধানটা আরও বাড়িয়ে নিয়েছেন এতে। এই দুজনই জিতেছেন ২০টি করে গ্র্যান্ড স্লাম।
অনেক দিন ধরেই বয়ে বেড়ানো বাঁ পায়ের চোটই নাদালের সবচেয়ে বড় শত্রু। অথচ এই চোট নিয়েই কী অবিশ্বাস্যভাবে ফাইনালে উঠেছেন ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে ফ্রেঞ্চ ওপেনে মাত্র তিনটি ম্যাচ হারা নাদাল! পায়ের চোট নিয়েই ফাইনালে ওঠা নাদালের সামনে বাধা হয়ে ছিলেন নরওয়ের প্রথম পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে গ্র্যান্ড স্লাম এককের ফাইনালে ওঠা রুড। যিনি আবার নাদালকেই আদর্শ মানেন।
ম্যাচ শেষে একটু যেন আবেগপ্রবণই হয়ে পড়েন নাদাল। ট্রফি হাতে নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমার কাছে কেমন লাগছে, তা বর্ণনা করা খুব কঠিন। আমি ৩৬ বছর বয়সে আবার এখানে আসব, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব, ফাইনালে আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোর্টে আবার খেলব; এটা আমি কখনোই ভাবিনি।’
সবশেষে নাদাল সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন, ‘আমি জানি না ভবিষ্যতে কী হবে। কিন্তু আমি খেলা চালিয়ে যেতে লড়াই করব। তাই সবাইকে ধন্যবাদ।’