মৃত্যুর কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন সেরেনা
• গর্ভাবস্থায় নানা জটিলতায় আক্রান্ত হয়েছিলেন সেরেনা
• সন্তান জন্মের সময় মৃত্যুর খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন
• সুচিকিৎসায় তিনি ও তাঁর সন্তান নতুন জীবন পেয়েছে
• বিশ্বব্যাপী গর্ভবতী মেয়েদের স্বাস্থ্যসেবায় কাজ করবেন তিনি
মৃত্যুটা খুব কাছ থেকে দেখে এসেছেন সেরেনা উইলিয়ামস। গত সেপ্টেম্বরে সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় মরতেই বসেছিলেন। কিন্তু দারুণ অভিজ্ঞ কয়েকজন চিকিৎসক আর হাসপাতালের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির কল্যাণে সে যাত্রায় বেঁচে ফিরেছেন। আয়ুরেখাও দীর্ঘ ছিল সেরেনার।
সেরেনা নিজেই নিজের জীবনের ভয়াবহ এ অভিজ্ঞতার গল্প শুনিয়েছে সিএনএন অনলাইনে লেখা কলামে। শিশু জন্ম দিতে গিয়ে নানা ধরনের জটিলতার মুখোমুখি হয়েছিলেন। নিজের কলামে সেটিরই বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে অনুভব করেছেন শিশু জন্ম দেওয়ার সময় একজন গর্ভবতী মায়ের চিকিৎসাসেবা কতটা উন্নতমানের হওয়া উচিত।
কলামটির প্রথমেই লিখেছেন, ‘আমি তো মারা যেতেই বসেছিলাম।’ নিজের সন্তান জন্মের আগের ছয় মাস তাঁকে মোটামুটি বিছানাকেই ‘স্থায়ী আশ্রয়’ বানিয়ে নিতে হয়েছিল। বিভিন্ন ধরনের জটিলতায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩৬ বছর বয়সী নারী টেনিসের অন্যতম সেরা এই তারকা। সেসব জটিলতা কাটিয়ে উঠতে তাঁকে অস্ত্রোপচারও করতে হয়েছিল বেশ কয়েকবার। তাঁর সন্তানের জন্মও হয় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে।
সেই জটিলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে সেরেনা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছেন তাঁর চিকিৎসক দলকে, ‘আমি দুর্দান্ত একটি চিকিৎসক দল পেয়েছিলাম। তারা অভিজ্ঞতায় ছিল পরিপূর্ণ। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা ছিল সিদ্ধহস্ত। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’ হাসপাতালের অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামের কথাও লিখেছেন তিনি।
সেরেনা এখন থেকে গর্ভাবস্থায় মেয়েদের স্বাস্থ্যসেবার কাজে মনোযোগী হওয়ার কথা জানিয়েছেন। সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বব্যাপী গর্ভবতী মেয়েদের স্বাস্থ্যসেবার উদ্যোগের প্রতি একাত্মতা জানিয়ে আর্থিক সহযোগিতার।
মেয়েদের টেনিসের উন্মুক্ত যুগে রেকর্ড ২৩ গ্র্যান্ড স্লামজয়ী সেরেনা মাতৃকালীন বিরতি সেরে কোর্টে ফিরেছেন সদ্যই। ফেডারেশন কাপে তিনি প্রতিনিধিত্ব করছেন যুক্তরাষ্ট্রের।