নিজের টুর্নামেন্ট থেকে বাদ, কাঁদলেন জোকোভিচ
বহুদিন শীর্ষ পর্যায়ের টেনিস দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না ভক্তরা। তাঁদের সুযোগ করে দিতে নিজেই এক টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিলেন নোভাক জোকোভিচ। আদ্রিয়া ট্যুর নামের দুদিনব্যাপী সেই টুর্নামেন্ট দেখতে চার হাজার দর্শক হাজির হয়েছিল। কিন্তু নিজের টুর্নামেন্টের ফাইনালেই ওঠা হয়নি জোকাভিচের।
জার্মান আলেক্সান্ডার জভেরেভ, অস্ট্রিয়ান ডমিনিক থিম ও স্বদেশি ফিলিপ ক্রাইনোভিচকে নিয়ে আদ্রিয়া ট্যুরের প্রথম পর্ব আয়োজন করেছেন জোকোভিভ। সার্বিয়ার বেলগ্রেডে এ টুর্নামেন্ট নিয়ে মানুষের মধ্যে বিপুল আগ্রহ দেখা গেছে। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে সবাই বাকি তিনজনের একসঙ্গে একটি করে ম্যাচ খেলেছেন। ফলে লিগ পদ্ধতিতে যারা সেরা তারাই ফাইনালে উঠেছেন। থিম আগেই ফাইনালে উঠে যাওয়ায় নিজের শেষ ম্যাচে জভেরেভকে সরাসরি সেটে হারাতে হতো জোকোভিচের। কিন্তু জভেরেভকে হারালেও দ্বিতীয় সেটে হেরেছিলেন জোকোভিচ। তাই সেটের হিসেবে ফাইনালে উঠেছেন ক্রাইনোভিচ।
ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হওয়ার পর আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েন জোকোভিচ। দর্শকদের বলেছেন তাঁর কান্নার কারণও, 'আমি বাদ পড়েছি বলে কাঁদছি না। আমি আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েছি কারণ, এটা আমার ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।'
এ টুর্নামেন্টের সুবাদে আবার স্বাভাবিক জীবনের স্বাদ পেয়েছেন সার্বিয়ার টেনিস পাগল মানুষ। বহুদিন পর শুধু যে টেনিস দেখতে পেয়েছেন তাই নয়। গ্যালারিতে আবারও ভিড় দেখা গেছে, গা ঘেষে ঘেষে সবাই বসেছেন। কারও মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি। ফলে মনে হচ্ছিল যেন করোনাভাইরাস সংক্রমণের আগের কোনো টুর্নামেন্ট।
জোকোভিচ তাই সবাইকে ধন্যবাদ দিয়েছেন এত আগ্রহ নিয়ে এ আয়োজন সফল করায়, 'বেশ কয়েকটা আবেগি দিন গেল। এটা সম্ভব করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আমাদের নিজেদের একজন তো ফাইনালে উঠেছে, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবাইকে ভালোবাসি এবং এখানে আসার জন্য ধন্যবাদ জানাই।' ফাইনালে অবশ্য সার্বিয়ানদের আশাপূরণ হয়নি। ডমিনিক থিমের কাছে ৪-৩(২), ২-৪, ৪-২ গেমে হেরে গেছেন ক্রাইনোভিচ।
অন্তত ৩১ জুলাই পর্যন্ত এটিপি ট্যুর বন্ধ। এ অবস্থায় টেনিসভক্তদের একমাত্র ভরসা এই আদ্রিয়া ট্যুর। সার্বিয়ার পর ক্রোয়েশিয়া ও বসনিয়াতে এই টুর্নামেন্টের পরের ধাপ আয়োজিত হবে।