নাদালের পর জোকোভিচকে হারানোর রেকর্ড রিয়াল মাদ্রিদ–ভক্তের

দারুণ ফর্মে আছেন আলকারাজছবি: রয়টার্স

ক্যামেরাকে হাতের কাছে পেয়েই কার্লোস আলকারাজ পর্দায় লিখে দিলেন, ‘মাদ্রিদের একটা ম্যাচ অনেক লম্বা।’ লাইনটা পরিচিত লাগছে? লাগতেই পারে, গত কয়েক দিনে বহুবার উচ্চারিত হয়েছে এ কথা। তবে একটু ভিন্নভাবে। ১৯৮৫ সালে সান সিরোতে হেরে যাওয়ার পর রিয়াল মাদ্রিদের হুয়ানিতো প্রথম বলেছিলেন, ‘সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর ৯০ মিনিট অনেক লম্বা।’ সেটা সেবারই ইন্টার মিলান টের পেয়েছিল। বহুবার বহু দল সেটা বুঝেছে। গত এক মাসে বুঝেছে পিএসজি, চেলসি ও ম্যানচেস্টার সিটি।

গত বুধবার সিটির বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন মাঠে বসেই দেখেছেন আলকারাজ। পাশেই ছিলেন মনেপ্রাণে আরেক মাদ্রিদিস্তা রাফায়েল নাদাল। পরশু এই নাদালকেই মাদ্রিদ ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়ে সেমিতে উঠেছিলেন আলকারাজ। কাল নোভাক জোকোভিচকেও ৬-৭ (৫), ৭-৫, ৭-৬ (৫) গেমে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেছেন রিয়াল মাদ্রিদের এই ভক্ত। ক্লে কোর্টে এই প্রথম একই টুর্নামেন্টে কেউ নাদাল ও জোকোভিচকে হারালেন।

কাল শীর্ষ বাছাই জোকোভিচকে হারিয়েছেন আলকারাজ
ছবি: রয়টার্স

১৯ বছর বয়সী আলকারাজ এ বছর আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। এ মৌসুমে ৩০ ম্যাচ খেলে মাত্র ৩ ম্যাচে হেরেছেন এই স্প্যানিশ তারকা। এ বছর শীর্ষ দশে থাকা ৬ জন খেলোয়াড়ের বিপক্ষে মুখোমুখি হয়ে এখনো হারেননি। এই ফর্মই তাঁকে শীর্ষ দশে নিয়ে এসেছে। কাল শীর্ষ বাছাইকে হারানোর পর ফাইনালে আজ দ্বিতীয় বাছাই আলেক্সান্ডার জভেরভকে পেয়েছেন আলকারাজ।

নাদালকেও হারিয়েছেন আলকারাজ
ছবি: রয়টার্স

কাল প্রথম সেট জিতেও ম্যাচ হেরে গেছেন জোকোভিচ। ম্যাচ শেষে তাই প্রশংসায় ভাসিয়েছেন প্রতিপক্ষকে, ‘ওকে অভিনন্দন। স্নায়ুর চাপ দারুণ সামলেছে। ওর বয়সের কারও এত পরিণত ও সাহসী খেলা প্রশংসাযোগ্য। ওর জয় প্রাপ্য। আমি খুব ভালো টেনিস খেলেছি, আমার মনে হয়, এ বছরের সেরা। যখন এই হারের হতাশা কাটবে, তখন এই সপ্তাহ থেকে অনেক ইতিবাচক কিছু খুঁজে পাব।’ জোকোভিচ এখন রোমে পরবর্তী ক্লে কোর্টের মাস্টার্স ১০০০–এর জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।

বার্নাব্যুতে লা লিগা শিরোপা জয়ের উৎসবে আলকারাজও ছিলেন
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

আলকারাজকে অবশ্য ফাইনাল নিয়েই ভাবতে হচ্ছে। গতকালের ৩ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট লম্বা ম্যাচের ধাক্কা সামলে আজ কেমন করেন, সেটাই দেখার বিষয়। তবে জোকোভিচের বিপক্ষে পাওয়া জয়ের ঘোর যেন কাটছিলই না আলকারাজের, ‘আমি জানি না ঠিক কোন ব্যাপারটা আমাদের দুজনের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিল। এটা খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল, উনি দ্বিতীয় সেটের শেষ দিকে আমার সার্ভ ব্রেক করার সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রথম সেটেও টাইব্রেকে খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। আমি আসলেই জানি না, পার্থক্য কোথায় ছিল।’