দ্বিতীয় রাউন্ডেই বিদায় ভেনাস-জেমির
চটি ঘিরে আগ্রহ ছিল জেমি মারে ও ভেনাস উইলিয়ামসের কারণে। দর্শক সমর্থনের দিক থেকেও তাঁরাই এগিয়ে ছিলেন। উইম্বলডনের মিশ্র দ্বৈতে একদম শেষ মুহূর্তে জুটি বাঁধার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাঁচবারের একক জয়ী ভেনাস ও সাতটি গ্র্যান্ডস্লাম বিজয়ী জেমি। ম্যাচে ফেবারিটও ছিলেন দুজন। কিন্তু ম্যাচ শেষে দর্শকের অভিবাদন জুটল ব্রিটেনের জনি ও’মারা ও অ্যালিসিয়া বার্নেটের।
দ্বিতীয় রাউন্ডে কাল প্রথম সেটে হেরে গিয়েছিলেন ব্রিটিশ এই জুটি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেটেও ৪-২ গেমে পিছিয়ে ছিলেন। প্রতিবারই দুর্দান্তভাবে ফিরে এসেছেন। নাভিশ্বাস তোলা এক টাইব্রেকার শেষে ৩-৬, ৬-৪, ৭-৬ (১৮/১৬) গেমে মারে-উইলিয়ামস জুটিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেছে ও’মারা-বার্নেট জুটি।
উইম্বলডন শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে মিশ্র দ্বৈতে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভেনাস। জেমি মারের সঙ্গে জুটি গড়েছেন। এমন দুজন এক হয়ে ওয়াইল্ড কার্ড চাওয়ায় অল ইংল্যান্ড ক্লাবও আপত্তি তোলেনি। হাজার হলেও এবার উইম্বলডনে প্রত্যাশিত দর্শক মিলছে না। দর্শক-আগ্রহ আছে এমন দুজনকে পেয়ে খুশিই হয়েছিল উইম্বলডন। ২০১৯ সালের পর আরেকটি মারে-উইলিয়ামস জুটি (সেবার অ্যান্ডি মারে-সেরেনা উইলিয়ামস জুটি বেঁধেছিলেন) পেয়ে দর্শকেরাও ছিলেন উচ্ছ্বসিত।
কাল সে উচ্ছ্বাস নিয়েই মাঠে এসেছিলেন সবাই। প্রথম সেটটা প্রত্যাশিত গতিতেই এগিয়েছে। শুরুতে একবার ব্রেক করার হুমকি জাগিয়েও পারেননি ও’মারা ও বার্নেট। উল্টো অষ্টম গেমে ব্রেক করে ৫-৩ গেমে এগিয়ে যান ভেনাস-জেমি, নিজেদের সার্ভ ধরে রেখে প্রথম সেট জেতেন।
দ্বিতীয় সেটেও আগে ব্রেক এনে দিয়েছেন ভেনাস। ৪-২ গেমে এগিয়েও গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এরপর ও’মারা ও বার্নেট দুর্দান্তভাবে ফিরে এসেছেন। টানা চারটি গেম জিতে ৬-৪ ব্যবধানে দ্বিতীয় সেট জিতে ম্যাচে ফিরে আসেন দুজন।
তৃতীয় সেটে শুরুতেই ব্রেক করেছেন জেমি ও ভেনাস। কিন্তু ও’মারার উইনারে ৪-৪ গেমে সমতা। সেটা ৬-৬ হয়ে গেলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকে। ১০ পয়েন্টের টাইব্রেকের শুরুটা ভালো করেছেন স্কটিশ ও’মারা ও ইংল্যান্ডের বার্নেট। ৫-১ পয়েন্টে এগিয়েও গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু জেমি ও উইলিয়ামস হাল ছাড়েননি। টানা পাঁচটি পয়েন্ট জিতেছেন এই পর্যায়ে এসে।
নাটকের এখানেই অবশ্য শেষ নয়। ৯-৭ পয়েন্টে এগিয়ে দুটি ম্যাচ পয়েন্ট পেয়ে যান ব্রিটিশ জুটি। কিন্তু জেমির দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে আবার সমতা। এরপর এক জুটি ম্যাচ পয়েন্ট পেয়েছে, আবার অন্য জুটি সেখান থেকে সমতায় ফিরে নিজেরা ম্যাচ পয়েন্ট পেয়েছে। ১৭-১৬ অবস্থায় মারের একটি রিটার্ন নেটে আটকা পড়ে। ১৩২ মিনিটের দুর্দান্ত লড়াইয়ের শেষে অভিবাদনটা তাই জোটে ও’মারা-বার্নেট জুটির।