কার্লোস আলকারাজ সেমিফাইনালে নামার আগে ক্যাসপার রুদের সামনে ছিল দুটি পথ। হয় তাঁকে ফাইনাল জিততে হবে অথবা আলকারাজকে সেমিফাইনালে হারতে হবে। দুটির মধ্যে যেকোনো একটি ঘটলেই র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠবেন রুদ। আজ ছেলেদের এককে সেমিফাইনালে হারেননি আলকারাজ, জিতে উঠে গেছেন ফাইনালে।
ফাইনালে উঠে আলকারাজ শুধু রুদের শিরোপার প্রতিপক্ষই হননি, র্যাঙ্কিং–সিংহাসনেরও প্রতিদ্বন্দ্বীও হয়ে উঠেছেন। যে জিতবেন, একই সঙ্গে শিরোপা–সিংহাসন দুটোই পাবেন।
প্রথম সেমিফাইনালে রাশিয়ার কারেন খাচানভকে ৭-৬ (৭/৫), ৬-২, ৫-৭, ৬-২ গেমে হারিয়ে ফাইনালে ওঠেন র্যাঙ্কিংয়ে সপ্তম রুদ। নরওয়ের প্রথম পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠলেন তিনি। গত জুনে ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে রাফায়েল নাদালের কাছে হেরে যাওয়ার পর এ বছর নিজের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালের দেখা পেলেন। পরের সেমিফাইনালটি ছিল রোমাঞ্চকর, যেখানে র্যাঙ্কিংয়ে চতুর্থ আলকারাজের মুখোমুখি হন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রান্সিস টিয়াফো।
১৯ বছর বয়সী স্প্যানিশ তারকা আলকারাজ ৪ ঘণ্টা ১৮ মিনিটের লড়াইয়ে টিয়াফোকে ৬-৭ (৬/৮), ৬-৩, ৬-১, ৬-৭ (৫/৭) গেমে হারিয়ে ফাইনালে ক্যাসপার রুদের মুখোমুখি হওয়া নিশ্চিত করেন। আলকারাজের সামনেও র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ওঠার সুযোগ আছে, সেজন্য ফাইনাল জিততে হবে। অর্থাৎ, এবার ইউএস ওপেনে ছেলেদের ফাইনাল শুধু শিরোপা জয়ের লড়াই-ই নয়, র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠার ম্যাচও।
২০০৫ সালে ১৯ বছর বয়সে ফ্রেঞ্চ ওপেনে ফাইনাল খেলেছিলেন রাফায়েল নাদাল। তারপর সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ছেলেদের কোনো গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে উঠলেন আলকারাজ। ইউএস ওপেনে ছেলেদের এককের ফাইনালে ১৯ বছর বয়সী কাউকে সর্বশেষ দেখা গেছে ১৯৯০ সালে—পিট সাম্প্রাস।
৫৯টি উইনার্স মেরে টানা তৃতীয় পাঁচ সেটের ম্যাচ জিতলেন আলকারাজ। ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা এবং সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠার সুযোগ এখন তাঁর সামনে।
ইউএস ওপেন পুরুষ এককের শিরোপা ও র্যাঙ্কিংয়ে সিংহাসনের লড়াইটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রোববার রাত ২টায়।