সব চেষ্টা ব্যর্থ, ৬০ বছর পর পাকিস্তানে খেলতে যেতে বাধ্য হলো ভারতের টেনিস দল
কয়েক মাসের অনিশ্চয়তা ও জল্পনার পর অবশেষে ডেভিস কাপের ম্যাচ খেলতে পাকিস্তানে গিয়ে পৌঁছেছে ভারত টেনিস দল। রাজধানী ইসলামাবাদের স্পোর্টস কমপ্লেক্সে ঘাসের কোর্টে আগামী ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি গ্রুপ আই-এর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল ভারত ও পাকিস্তান। এর আগে ভারতের টেনিস দল সর্বশেষ পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল ৬০ বছর আগে, ১৯৬৪ সালে।
পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অল ইন্ডিয়ান টেনিস অ্যাসোসিয়েশন (এআইটিএ) পাকিস্তানে না যাওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। তারা পাকিস্তানের আয়োজক স্বত্ব বাতিল করাতেও অনেক দেনদরবার করেছে। যে লক্ষ্যে তারা প্রথমে ডেভিস কাপ কমিটির শরণাপন্ন হয় এবং পরবর্তী সময়ে নিরপেক্ষ ভেন্যুর দাবি নিয়ে যায় চেয়ার অব দ্য ইনডিপেনডেন্ট ট্রাইব্যুনালে। কিন্তু এআইটিএর সব চেষ্টা শেষ পর্যন্ত বিফলে গেছে।
এর আগে ক্রিকেটের ক্ষেত্রে এমন চেষ্টায় অবশ্য সফল হয়েছিল ভারত। ক্রিকেটে ভারত সর্বশেষ সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে গিয়েছিল ২০০৮ সালে। এরপর গত বছর পাকিস্তান এশিয়া কাপের আয়োজক হলেও ভারত টুর্নামেন্ট খেলতে পাকিস্তানে যায়নি। যে কারণে বাধ্য হয়ে ভারতের ম্যাচগুলো শ্রীলঙ্কায় আয়োজন করতে হয়েছিল। কিন্তু টেনিসের ক্ষেত্রে এই চেষ্টায় সফল হতে পারেনি ভারত। শেষ পর্যন্ত তাদের পাকিস্তান সফরে যেতেই হলো।
সম্ভাব্য সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ভারতের সামনে দুটি বিকল্প ছিল। এক, ম্যাচ খেলার জন্য পাকিস্তান সফরে যাওয়া এবং অন্যটি হলো জরিমানা ও সম্ভাব্য অবনমন মেনে নেওয়া। শেষ পর্যন্ত শাস্তি এড়াতে অনেকটা বাধ্য হয়েই পাকিস্তান ভ্রমণ করেছে ভারত দল।
পাকিস্তান সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ জানিয়েছে, এটি পাকিস্তানের জন্য ঐতিহাসিক একটি মুহূর্ত। কয়েক মাসের মধ্যে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে দ্বিতীয়বারের মতো নিজেদের আয়োজক স্বত্ব সফলতার সঙ্গে রক্ষা করতে পেরেছে দেশটি।
ভারতের আবেদন খারিজ করে পাকিস্তানের আয়োজক স্বত্ব রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে দ্য ডেভিস কাপ কমিটি (ডিসিসি)। আর সেই সিদ্ধান্তকে আরও দৃঢ়তা দিয়েছে স্বাধীন ট্রাইব্যুনাল। ভারতের দাবিকে খারিজ করেছে তারাও।
ভারত দল পাকিস্তানে গেছে পাঁচ খেলোয়াড়, দুজন ফিজিওথেরাপিস্ট, একজন কোচ, একজন ম্যানেজার এবং একজন সমন্বয়ক নিয়ে। অনিচ্ছায় গেলেও ভারত দল পাকিস্তানে গিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনাই পেয়েছে। পাকিস্তান টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) গুল রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এ সময় খেলোয়াড়দের অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন।