‘বাথরুম–বিরতি’ নিয়ে ইউএস ওপেনের ফাইনালে
মেয়েদের এককের সেমিফাইনালে ইগা সিওনতেকের বিপক্ষে প্রথম সেট জিতে প্রথমবারের মতো গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনাল খেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বেলারুশের ষষ্ঠ বাছাই আরিয়ানা সাবালেঙ্কা। কিন্তু এরপরই সিওনতেকের ঘুরে দাঁড়ানোর পালা শুরু।
চট করে একটা ‘বাথরুম–ব্রেক’ নেন সিওনতেক। তারপর কোর্টে ফিরে জিতে নেন বাকি দুই সেট। ইউএস ওপেনে কাল সাবালেঙ্কাকে ৩–৬, ৬–১, ৬–৪ গেমে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এ টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছেন দুইবারের গ্র্যান্ড স্লাম চ্যাম্পিয়ন র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা সিওনতেক।
ফাইনালে তিউনিসিয়ার উনস জাবিরের মুখোমুখি হবেন সিওনতেক। কাল মেয়েদের এককে সেমিফাইনালের অপর ম্যাচে ফ্রান্সের ক্যারোলিন গার্সিয়াকে ৬–১, ৬–৩ গেমে হারিয়ে ফাইনালে ওঠেন ওনস জাবির।
প্রথম সেটে বেশ কিছু বাজে শট খেলেন সিওনতেক। পোলিশ তারকা জানিয়েছেন, বাথরুমে যাওয়ার বিরতিটা তাঁর জন্য কাজে লেগেছে। প্রথম সেটে যেসব ভুল করেছেন, সেসব নিয়ে ভেবেছেন এবং ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েই কোর্টে ফিরেছেন।
সিওনতেকের ভাষায়, ‘বাথরুমে যাওয়ার দরকার পড়েছিল। অবশ্যই বেশ হালকা অনুভব করেছি—বাজে বিষয়টির জন্য দুঃখিত।’ এরপর শৈশবে খেলার মধ্যে বাথরুমে যাওয়ার স্মৃতির উদাহরণ টেনে সিওনতেক বলেছেন, ‘ওই সময়টা (বাথরুমে কাটানো সময়) কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। (খেলায়) কী কী পাল্টাতে হবে, তা নিয়ে ভাবি। মনে আছে, ছোটবেলায় সেট হারের পর বাথরুমে গিয়ে কাঁদতাম। কিন্তু এবার কী কী করতে হবে, তা ভাবার পর সমস্যার সমাধান করে ফেলেছি।’
কোর্টে ফিরে পরের দুই সেট দারুণভাবে জিতে নেন সিওনতেক। অন্য সেমিফাইনালে ইতিহাস গড়েছেন জাবির। আফ্রিকার প্রথম নারী হিসেবে উঠেছেন ইউএস ওপেনের ফাইনালে।
গত জুলাইয়ে এই মহাদেশের প্রথম নারী হিসেবে উইম্বলডনের ফাইনালেও উঠেছিলেন জাবির। প্রায় এক ঘণ্টার একপেশে লড়াইয়ে গার্সিয়াকে সহজেই হারিয়ে ফাইনালে ওঠেন তিউনিসিয়ার এই তারকা, ‘দারুণ লাগছে। উইম্বলডনের পর অনেক চাপে ছিলাম। পারফরম্যান্স করে চাপমুক্ত হতে পেরে ভালো লাগছে।’