আলকারাজের মতো কারও বিপক্ষে কখনো খেলেননি জোকোভিচ
রজার ফেদেরার আর রাফায়েল নাদালের বিপক্ষে মোট ১০৯ বার মুখোমুখি হয়েছেন নোভাক জোকোভিচ। আর কার্লোস আলকারাজের বিপক্ষে খেলেছেন মাত্র তিনবার। টেনিস ইতিহাসের অন্যতম সেরা দুই কিংবদন্তির বিপক্ষে এক শর বেশি ম্যাচ খেললেও তিন ম্যাচ অভিজ্ঞতায় আলকারাজকেই ‘সেরা’ প্রতিপক্ষ মনে হচ্ছে জোকোভিচের।
৩৬ বছর বয়সী এই সার্বিয়ান তারকা রোববার উইম্বলডনে ছেলেদের এককের ফাইনালে ২০ বছর বয়সী আলকারাজের কাছে হেরে গেছেন। ৫ সেটের ‘ক্ল্যাসিক’ লড়াইয়ে হারের পর জোকোভিচ বলেছেন, এমন কারও বিপক্ষে আগে কখনো খেলেননি। এমনকি আলকারাজকে অনেকে যে ফেদেরার, নাদাল ও জোকোভিচের সামর্থ্যের সঙ্গে তুলনা করে থাকেন, সেটিতেও একমত রেকর্ড ২৩ গ্র্যান্ড স্লামের মালিক।
গতকাল উইম্বলডনের ফাইনালের আগে আলকারাজের বিপক্ষে জোকোভিচ সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিলেন ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনালে। যেখানে শারিরীক ও মানসিকভাবে পিছিয়ে আগেভাগেই কোর্ট ছেড়ে যান আলকারাজ।
এবার উইম্বলডন ফাইনালের শুরুটাও ছিল জোকোভিচের অনুকূলে। প্রথম সেট জেতেন ৬–১ ব্যবধানে। কিন্তু এর পর আর দাপট ধরে রাখতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৩–২ সেটে জিতে উইম্বলডনের ট্রফি হাতে নেন আলকারাজ। স্পেনের এই তরুণের প্রশংসা করতে গিয়ে জোকোভিচ বলেন, ‘বছরখানেক ধরে যে মানুষ বলে আসছে ওর মধ্যে রজার (ফেদেরার), রাফা (নাদাল) এবং আমার সংমিশ্রণ আছে, আমি তাতে একমত। ওর মধ্যে তিন বিশ্বসেরার সেরা দিকগুলোই আছে।’
ফেদেরার, নাদাল এবং জোকোভিচের সেরা দিকগুলো থাকার অর্থ, টেনিস কোর্টে দরকার হওয়া সব দক্ষতাই আছে আলকারাজের। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সেটিও বলেন জোকোভিচ, ‘সত্যি বলতে কী, ওর মতো খেলোয়াড়ের বিপক্ষে আমি কখনো খেলিনি। রজার এবং রাফার নিজেদের শক্তির দিক আছে, আবার দূর্বল দিক আছে। কার্লোসকে আমার পূর্ণাঙ্গ খেলোয়াড় মনে হয়েছে। সব ধরনের মাঠে সাফল্য পেতে এবং দীর্ঘ দিন টিকে থাকার জন্য যেটা দরকার, তেমন মানিয়ে নেওয়ার দুর্দান্ত সামর্থ্য আছে ওর।’
প্রতিপক্ষ জোকোভিচের পাশাপাশি স্বদেশী কিংবদন্তি নাদালের প্রশংসাও পেয়েছেন আলকারাজ। ২০ বছর বয়সে দুটি গ্র্যান্ড স্লাম জয় করা এই তরুণকে উইম্বলডন ফাইনালের পর অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন নাদাল।
২২টি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী নাদাল সেখানে আরেক স্প্যানিশ কিংবদন্তির নাম উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘আজ তুমি আমাদের অসামান্য আনন্দ দিয়েছো। আমি নিশ্চিত, স্প্যানিশ টেনিসের অগ্রদূত মানোলো সান্তানা যেখানে থাকুন না কেন, তোমার জন্য উৎফুল্ল হয়েছেন যে উইম্বলডনে (শিরোপা জয়ীদের তালিকায়) আজ তুমি যোগ দিয়েছো। তোমার জন্য আন্তরিক আলিঙ্গন থাকল, মুহূর্তটা উপভোগ কর, হে চ্যাম্পিয়ন!!’