ইউএস ওপেন: দ্বিতীয় রাউন্ডেই বিদায় আলকারাজের, হার ওসাকারও
অঘটন তো বটেই। তবে অঘটন কত বড়, তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ইউএস ওপেনে ছেলেদের এককে দ্বিতীয় রাউন্ডে র্যাঙ্কিংয়ে ৭৪তম নেদারল্যান্ডসের বটিক ফন দে জন্ডসচুলুপের কাছে ৬–১, ৭–৫, ৬–৪ গেমে হেরে বিদায় নিয়েছেন কার্লোস আলকারাজ। স্প্যানিশ এ তারকা ছেলেদের র্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয়, ২০২২ সালের ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়নও।
ইউএস ওপেনে সর্বশেষ তিনবারই অন্তত কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছেন উইম্বলডন ও ফ্রেঞ্চ ওপেনজয়ী ২১ বছর বয়সী আলকারাজ। ২০২১ উইম্বলডনে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায়ের পর এবারই কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম থেকে এত দ্রুত বিদায় নিতে হলো তাঁকে। এই হারে আলকারাজের একটি স্বপ্নও ভেঙে গেল। টেনিসের আধুনিক সময়ে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এক মৌসুমে ফ্রেঞ্চ ওপেন, উইম্বলডন ও ইউএস ওপেন জয়ের সুযোগ ছিল তাঁর সামনে।
তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে প্যারিস অলিম্পিকে নোভাক জোকোভিচের কাছে সোনা জয়ের লড়াইয়ে হেরে যাওয়া আলকারাজ ঠাসা সূচির কথা বললেও আজকের হারের জন্য কোনো অজুহাত দিতে চান না। হারের পর তিনি বলেছেন, ‘টেনিসের সূচি ঠাসা। রোলাঁ গারোঁ, উইম্বলডন ও অলিম্পিক মিলিয়ে অনেক ম্যাচই খেলেছি। অলিম্পিকের পর একটু বিরতি নিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা পর্যাপ্ত ছিল না। যতটা উদ্দীপনা পাবো ভেবেছিলাম, ততটা পাইনি এ টুর্নামেন্টে। তবে আমি কোনো অজুহাত দিতে চাই না।’
অন্যদিকে টেনিস র্যাঙ্কিয়ে শীর্ষ পাঁচে থাকা খেলোয়াড়দের বিপক্ষে ক্যারিয়ারে এ নিয়ে দ্বিতীয় জয় পেলেন দে জন্ডসচুলুপ। আলকারাজের বিপক্ষে আগের দুবার হারের পর তৃতীয়বার পেলেন জয়ের দেখা। আনন্দের আতিশয্যে এ ডাচ তারকা বলেছেন, ‘আর্থার অ্যাশে রাতের সেশনে প্রথম নেমেই অবিশ্বাস্য সন্ধ্যা দেখলাম। শান্ত থাকার চেষ্টা করেছি। এসব খেলোয়াড়ের বিপক্ষে শান্ত না থাকলে তারা সুবিধা নেয়।’ বার্তা সংস্থা এএফপি তাঁর এই জয়কে বিবেচনা করছে সাম্প্রতিক সময়ের গ্র্যান্ড স্ল্যামের ইতিহাসে অন্যতম বড় অঘটন হিসেবে।
আলকারাজের হারের দিনে মেয়েদের এককে দ্বিতীয় রাউন্ডে র্যাঙ্কিংয়ে ৫২তম চেক প্রজাতন্ত্রের ক্যারোলিনা মুচোভার কাছে হেরে বিদায় নিয়েছেন দুবারের চ্যাম্পিয়ন নাওমি ওসাকা। ২০১৮ ও ২০২০ সালে ইউএস ওপেনজয়ী ওসাকা কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ায় গত বছর ইউএস ওপেনে খেলতে পারেননি। এবার বছরের শেষ এই গ্র্যান্ড স্ল্যামে ফিরলেও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলেন না। মুচোভার কাছে ৬–৩, ৭–৬ (৭/৫) গেমে হারের পর ওসাকা অবশ্য তেমন একটা হতাশ নন, ‘সত্যিই মজা পেয়েছি। অনেক দর্শক উৎসাহ দেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ। আমার মনে হয়, এটা আমার জন্য শেখার বছর।’