প্রতিশোধের ফাইনালে ইতিহাসেরও হাতছানি জোকোভিচের
উইম্বলডনের প্রথম সেমিফাইনালে কার্লোস আলকারাজের জয়ের পরই তৈরি হয় এই সম্ভাবনা। অপেক্ষা ছিল পরেরটিতে নোভাক জোকোভিচেরও জিতে আসার। ইতালির লরেনৎসো মুসেত্তিকে হারিয়ে সেই কাজও ঠিকঠাক সেরে নেন জোকোভিচ।
এ দুজনের জয়ে গত বছরের ফাইনালেরই এখন পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে উইম্বলডনে। রোববারের ফাইনালটা জোকোভিচের জন্য প্রতিশোধেরও। গত বছর যে ফাইনালে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর আলকারাজের কাছে হেরে গিয়েছিলেন সার্বিয়ান টেনিস মহাতারকা।
গতকাল রাতে সেন্টার কোর্টে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ মুসেত্তিকে কোনো প্রতিরোধই গড়তে দেননি জোকোভিচ। ৬-৪,৭-৬ (৭ /৬),৬-৪ গেমে জিতে নিশ্চিত করেছেন উইম্বলডনের তাঁর দশম ফাইনাল। সব মিলিয়ে এটি জোকোভিচের ৩৭ তম গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল।
ফাইনালে আলকারাজকে হারাতে পারলে নতুন ইতিহাসও গড়বেন জোকোভিচ। নারী ও পুরুষ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্লাম জেতা মার্গারেট কোর্টকে পেছনে ফেলে এককভাবে সর্বোচ্চ শিরোপা জেতা খেলোয়াড় হবেন তিনি। দুজনেরই এখন সমান ২৪টি করে গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা।
পাশাপাশি জোকোভিচের সামনে সুযোগ উইম্বলডনে সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ে কিংবদন্তি রজার ফেদেরারের পাশে বসারও। উইম্বলডনের ৮টি শিরোপা জিতে এখন সবার ওপরে আছেন ফেদেরার, জোকোভিচের উইম্বলডন শিরোপা ৭টি।
সেমির লড়াই জিতে ফাইনালের প্রতিপক্ষ আলকারাজকে নিয়ে কথা বলেছেন জোকোভিচ। ফাইনালের আগে আলকারাজের প্রশংসাই বেশি শোনা গেল জোকোভিচের কণ্ঠে, ‘সে সবদিক থেকে ভারসাম্যপূর্ণ খেলোয়াড়ের দারুণ এক উদাহরণ। আলকারাজের দারুণ একটি কোচিং দল আছে এবং তার মূল্যবোধও দারুণ। এ কারণে সে বেশ জনপ্রিয়ও। ২১ বছর বয়সীদের মধ্যে সে আমার দেখা সর্বকালের সেরাদের একজন। ভবিষ্যতে আমরা তার অনেক কীর্তি দেখব। সে আরও অনেক গ্র্যান্ড স্লাম জিতবে।’