অস্ট্রেলিয়ান ওপেন: ইয়াসত্রেমস্কার স্বপ্ন ভেঙে ইতিহাসে ঝেং
দুজনেরই ছিল গ্র্যান্ড স্লামের প্রথম সেমিফাইনাল। দুজনই দাঁড়িয়ে ছিলেন ইতিহাসের সামনে। দায়ানা ইয়াসত্রেমস্কার সামনে ছিল ২০২১ সালের ইউএস ওপেনে এমা রাদুকানুর পর প্রথম অবাছাই নারী খেলোয়াড় হিসেবে গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে খেলার হাতছানি। আর ঝেং কিনওয়েন দাঁড়িয়ে ছিলেন লি নার পর চীনের দ্বিতীয় নারী হিসেবে গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে খেলার ইতিহাসের সামনে।
ইউক্রেনের ২৩ বছর বয়সী ইয়াসত্রেমস্কার স্বপ্ন ভেঙে চীনের দ্বিতীয় নারী হিসেবে গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে উঠেছেন ঝেং। আজ অস্ট্রেলিয়ার ওপেনে মেয়েদের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইয়াসত্রেমস্কাকে ৬-৪, ৬-৪ গেমে হারিয়ে ফাইনালে ওঠা ঝেংয়ের সামনে আরেক ইতিহাসের হাতছানি—চীনের দ্বিতীয় নারী খেলোয়াড় হিসেবে গ্র্যান্ড স্লাম জয়।
ঝেংয়ের পূর্বসূরি লি না গ্র্যান্ড স্লামের চারটি ফাইনাল খেলেছেন। ২০১১ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনের পর জিতেছেন ২০১৪ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। কিন্তু ২০১১ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে হেরেছেন কিম ক্লাইস্টার্সের কাছে। একই টুর্নামেন্টে তাঁর শিরোপার স্বপ্ন ভেঙেছে ২০১৩ সালে ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কার কাছে হেরে। ঝেং কি পারবেন নিজের প্রথম গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনাল জিতে ইতিহাস গড়তে!
কাজটা খুবই কঠিন। ফাইনালে যে তাঁর প্রতিপক্ষ দুর্দান্ত ছন্দে থাকা আরিনা সাবালেঙ্কা। র্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেলারুশের মেয়ে আজ ফাইনালে উঠেছেন প্রথম সেমিফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের কোকো গফকে ৭-৬ (৭/২), ৬-৪ গেমে হারিয়ে। তিনি লড়বেন ২০১৭ সালে সেরেনা উইলিয়ামসের পর প্রথম নারী খেলোয়াড় হিসেবে টানা দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের ইতিহাস গড়তে।
কিন্তু চাইনিজদের কাছে ‘কুইন ওয়েন’ নামে পরিচিত ২১ বছর বয়সী ঝেং খুবই আত্মবিশ্বাসী। আজ সেমিফাইনাল জয়ের পর তিনি বলেছেন, ‘এমন অসাধারণ পারফরম্যান্স করে এবং ফাইনালে উঠে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। আমার প্রতিপক্ষ অবিশ্বাস্য টেনিস খেলছিল...এই মুহূর্তে আমার অনুভূতি প্রকাশ করা খুবই কঠিন।’