টানা পাঁচ উইম্বলডনের সেমিফাইনালে জোকোভিচ
টানা পঞ্চমবারের মতো উইম্বলডনের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছেন নোভাক জোকোভিচ। রাশিয়ান প্রতিপক্ষ আন্দ্রে রুবলেভের বিপক্ষে প্রথম সেট হেরে গেলেও শক্তি সঞ্চয় করে ম্যাচে ফিরেছেন ২৩ গ্র্যান্ড স্লাম বিজয়ী তারকা। সেমিতে উঠে আরও একটি রেকর্ড স্পর্শ করেছেন তিনি। গ্র্যান্ড স্লামে এটি হতে যাচ্ছে তাঁর ৪৬তম সেমিফাইনাল। এই অর্জনে রজার ফেদেরারের সঙ্গে ব্র্যাকেটবন্দী হয়েছেন জোকোভিচ। কোয়ার্টার ফাইনালে কাল সপ্তম বাছাই রুবলেভের বিপক্ষে জিতেছেন ৪-৬, ৬-১, ৬-৪ ও ৬-৩ ব্যবধানে।
এখন জোকোভিচের যেকোনো অর্জন মানেই ইতিহাস। জোকোভিচ নিজেও জানেন, তাঁর সব প্রতিপক্ষই তাঁকে থামাতে মরিয়া। কাল কোয়ার্টার ফাইনাল জেতার পর সেটিই বলেছেন সার্বিয়ান তারকা, ‘আমি জানি, তারা সবাই খুব করেই আমাকে হারাতে চায়। তবে এখন পর্যন্ত সেটি হয়নি।’ এবার জিতলে এটি হবে জোকোভিচের অষ্টম উইম্বলডন শিরোপা। এর মাধ্যমে তিনি ফেদেরারের সবচেয়ে বড় রেকর্ডটা ছোঁবেন (৮ শিরোপা)।
কোয়ার্টার ফাইনালেও স্বরূপে ফিরতে কিছুটা সময় নিলেন জোকোভিচ। ততক্ষণে তাঁর হাতছাড়া হয়ে যায় প্রথম সেট। শুরুটা দাপটে করেছিলেন রুবলেভ। দেখে মনে হচ্ছিল জোকোভিচকে কোর্টে দাঁড়াতেই দেবেন না। নবম গেমে জোকোভিচের সার্ভিস ভেঙে দেন রুশ খেলোয়াড়। ৪৫ মিনিটে সেটও জিতলেন। রুবলেভের উইনারের জবাব দিতে পারেননি দ্বিতীয় বাছাই।
কাল রুবলেভের বিপক্ষে প্রথম সেট হেরে শঙ্কার মেঘ জমিয়েছিলেন জোকোভিচের ভক্তদের মনে। কিন্তু দ্বিতীয় সেটেই ঘুরে দাঁড়ান জোকোভিচ। শক্তিশালী সার্ভিস আর ব্যাক হ্যান্ড ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করতে থাকেন। প্রতিটি সেটেই রুবলেভের পরীক্ষা নিয়েছেন। তাঁকে প্রচণ্ড পরিশ্রম করতে বাধ্য করেছেন। শুরুতে ম্যাচটা কঠিন মনে হলেও জোকোভিচ জিতেছেন ২ ঘণ্টা ৪৭ মিনিট খেলেই।
ম্যাচের পর প্রতিপক্ষের প্রশংসাই করেছেন জোকোভিচ, ‘রুবলেভ দারুণ টেনিস খেলেছে।’ এ বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে রুবলেভের বিপক্ষে সহজেই জিতেছিলেন জোকোভিচ।
রুবলেভ কাল জোকোভিচের ওপর চাপ তৈরি করেছিলেন। সার্ব তারকা মনে করেন, ম্যাচটি ছিল অনেকটাই ‘ডগফাইট’ ধরনের, ‘সে কোর্টে আমার ওপর যথেষ্ট চাপ তৈরি করেছে। খুব দ্রুততার সঙ্গে খেলছিল। ম্যাচটা অনেকটাই “ডগফাইট” ধরনের হয়েছে। ম্যাচের কিছু সময় ছিল খুবই ঘাম ঝরানো। তবে তৃতীয় সেটের পরপরই খেলাটা আমার দিকে ঝুঁকে পড়ে। তবে ম্যাচটা জিতে আমার মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।’
শুক্রবার উইম্বলডনের সেমিফাইনালে জোকোভিচ কোর্টে নামবেন ইতালির অষ্টম বাছাই জানিক সিনারের বিপক্ষে। ম্যাচটা যে কঠিন হবে, সেটা আগেভাগেই জানিয়ে রেখেছেন জোকোভিচ, ‘সিনার ঘাসের কোর্টে খেলতে পছন্দ করে। সে দ্রুতগতির কোর্টে খেলতে পছন্দ করে কারণ, আগ্রাসী টেনিস তার শক্তির জায়গা।’
সেমির প্রতিপক্ষের আরও প্রশংসা ঝরেছে জোকোভিচের কণ্ঠে, ‘সে পরিপূর্ণ একজন খেলোয়াড়। উইম্বলডনের সেমিফাইনালে সে এই প্রথমবারের মতো উঠেছে। আমি তার সঙ্গে খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। আমি নিশ্চিত, সিনারও যথেষ্ট অনুপ্রেরণা নিয়েই মাঠে নামবে। অন্যদিকে, আমার অনুপ্রেরণাও কম নয়।’