ম্যাচ শেষে কোর্টে নেট ধরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন আরিয়ানা সাবালেঙ্কা। অপেক্ষা কোয়ার্টার ফাইনাল প্রতিপক্ষ এলিনা সভিতোলিনার জন্য। কিন্তু সেই অপেক্ষা ফুরোয়নি সাবালেঙ্কার। হাত মেলাতে এগিয়ে আসেননি ইউক্রেনীয় প্রতিপক্ষ সভিতোলিনা।
দ্বিতীয় বাছাই বেলারুশ তারকা কিছুক্ষণ আগেই ইউক্রেনের এলিনা সভিতোলিনাকে সরাসরি সেটে (৬-৪, ৬-৪) হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠেন। ম্যাচ শেষে নিয়ম অনুযায়ী প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মেলাতে নেটের ওপাশে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন সাবালেঙ্কা। কিন্তু সভিতোলিনা নিয়ম মানার ধার ধারেননি। তাঁর দেশে সামরিক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
সেই যুদ্ধে রাশিয়ার সহযোগী বেলারুশ। প্রতিবাদে রাশিয়া কিংবা বেলারুশের কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গে হাত মেলাবেন না ঠিক করেছিলেন সভিতোলিনা। সাবালেঙ্কার সঙ্গে সেটাই করেছেন। সাবালেঙ্কার জন্য অবশ্য এই অভিজ্ঞতা নতুন কিছু নয়। প্রথম রাউন্ডে আরেক ইউক্রেনীয় প্রতিযোগী মার্তা কস্তিয়ুকও হাত মেলাননি সাবালেঙ্কার সঙ্গে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত বছর মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়া সভিতোলিনা রাশিয়া কিংবা বেলারুশের খেলোয়াড়ের সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ নামে গত বছর তাঁর দেশে হামলা চালায় রাশিয়া। সেই যুদ্ধ এখনো থামেনি।
সেমিফাইনালে চেক প্রজাতন্ত্রের ক্যারোলিনা মুখোভার মুখোমুখি হবেন সাবালেঙ্কা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সমালোচিত সাবালেঙ্কা আগের দুটি ম্যাচে সংবাদ সম্মেলন এড়িয়ে যান। ইউক্রেনের এক সংবাদকর্মী রাশিয়ার হামলা নিয়ে সাবালেঙ্কাকে তুলোধুনো করার পর এর আগে সর্বশেষ দুটি ম্যাচে সংবাদ সম্মেলনে আসেননি সাবালেঙ্কা। আজ অবশ্য তার ব্যত্যয় ঘটেছে।
আজকের ম্যাচে ফিলিপে শাতরিয়ের স্টেডিয়ামে প্রায় অর্ধেক খালি গ্যালারিতেও ইউক্রেনের বেশ কিছু পতাকা দেখা গেছে। বিবিসির সংবাদকর্মী ডেলিথ লয়েড অবশ্য জানিয়েছেন, ম্যাচ শেষে সভিতোলিনা তাঁর সঙ্গে হাত মেলাতে আসবেন, এমন প্রত্যাশা করেননি সাবালেঙ্কা। সভিতোলিনা হাত না মেলানোর পর গ্যালারি থেকে কিছু দর্শক তাঁকে দুয়ো দিয়েছেন।