‘মেসি আমার ক্রাশ’
বিশ্বকাপ ফুটবল ঘিরে দেশের ক্রীড়াঙ্গনেও উন্মাদনার কমতি নেই। প্রিয় দল, প্রিয় ফুটবলারদের নিয়ে সবারই আছে আবেগ আর প্রত্যাশা। আছে বিশ্বকাপ নিয়ে অনেক স্মৃতিও। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের তারকাদের বিশ্বকাপ-ভাবনা নিয়েই এই আয়োজন। আজ শুনুন বাংলাদেশ নারী দলের পেসার জাহানারা আলমের কথা—
প্রশ্ন :
আমরা জানি, আপনি আর্জেন্টিনার সমর্থক। কিন্তু আপনার দলের শুরুটা তো ভালো হলো না...
জাহানারা আলম: হ্যাঁ, একদমই ভালো হলো না। সামনে কী হবে কে জানে!
প্রশ্ন :
আপনি তো ক্রিকেটার, ফুটবলের প্রতি এত ভালোবাসা কীভাবে?
জাহানারা: আমি ৯ বছর বয়স থেকে খেলাধুলায়। ক্রিকেটার হওয়ার আগে সব ধরনের খেলাই খেলতাম। ভালো অ্যাথলেট ছিলাম, ফুটবলও খেলেছি। ১১ বছর বয়সেই খুলনায় ঘরোয়া ফুটবল খেলি। মজার ব্যাপার হলো, আমি প্রথম টিভি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলাম ফুটবলার হিসেবে, ২০০৪ সালে। এরপর তো ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল এল। তখন থেকেই মেসিকে ভালো লাগে, তারপর আর্জেন্টিনা।
প্রশ্ন :
আর্জেন্টিনার সমর্থক হয়েছেন তাহলে শুধু মেসির কারণে?
জাহানারা: মেসির খেলা দেখতে দেখতেই আর্জেন্টিনার প্রতি ভালো লাগা কাজ করেছে। সেখান থেকেই মেসি আমার ক্রাশ। তার খেলাই সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আরও অনেকের খেলা ভালো লাগে। রোনালদো তো ড্যাম স্মার্ট। সবাই বলে ক্রাশ হলে তো রোনালদো হওয়া উচিত। তাহলে মেসি কেন? আসলে আমার ভালো লাগাগুলো একটু ভিন্ন। আমার সবকিছু মিলিয়ে ভালো লাগে। আর্জেন্টিনা ভালো লাগে শুধু মেসির জন্য।
প্রশ্ন :
ফুটবল বিশ্বকাপের প্রথম স্মৃতি কোনটা?
জাহানারা: বিশ্বকাপ এলেই নিজের টাকা দিয়ে দুটি পতাকা কিনতাম। একটা বাংলাদেশের, আরেকটা আর্জেন্টিনার। দুটি পতাকাই একসঙ্গে উড়ত আমাদের বাড়িতে। আমার ছোট বোন ব্রাজিলের সমর্থক। ছোটবেলা থেকেই সে কাকার ভক্ত। আমি ওকে ‘কাকি’ বলে খেপাতাম। সে প্রচণ্ড কান্না করত। আম্মুর কাছে নালিশ দিত। কিন্তু কোনো লাভ হতো না। কারণ, বাবা ছিলেন আমার দলে।
প্রশ্ন :
কী মনে হয়, আর্জেন্টিনা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে?
জাহানারা: আরও দুটি ম্যাচ আছে। ওদের অবশ্যই আরও ভালো খেলতে হবে। আমি অবশ্যই চাইব, মেসি গোল করুক। আর্জেন্টিনা বাকি দুটি ম্যাচ জিতে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকুক। আমার জন্য হলেও যেন আর্জেন্টিনা জেতে।
প্রশ্ন :
বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা কে হতে পারেন?
জাহানারা: মেসির বাইরে কাউকে চিন্তা করতে পারছি না, তাহলে মেসি মাইন্ড করবে (হাসি)।