আপনার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল সাদা বলের ক্রিকেটে। গত বছর লাল বলেও (টেস্ট ক্রিকেট) তো ভালো করেছেন। আপনার নিজের কাছে কোনটা আগে?
হাসান: লাল বল আমার কাছে সব সময় সবকিছুর আগে প্রায়োরিটি। এমনিতে সব সংস্করণেই সব সময় চাই সবার আগে যেন নিজেকে ধরে রাখতে পারি। ফরম্যাট যেমনই হোক, নতুন বলে বলটা ব্যবহার করতে চাই, যতটা পারি উইকেট নেওয়ার মতো বল করতে চাই।
টেস্টে প্রথম বছরেই ৯ টেস্টে ৩০ উইকেট পেয়েছেন। বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে এক বছরে যা সর্বোচ্চ...
হাসান: হ্যাঁ, গত বছর আমি ৩০ উইকেট পেয়েছি। চেষ্টা করব, কীভাবে সামনে আরও বাড়ানো যায়। যখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট শুরু করেছি, তখন থেকেই টেস্ট নিয়ে আত্মবিশ্বাসটা চলে আসে। লাল বলে ভালো করব, উইকেট নিতে পারব, ম্যাচ জেতাব; ওই বিশ্বাসটা তখন থেকেই ছিল।
এ ক্ষেত্রে কি কাউকে আদর্শ মানেন?
হাসান: বড় বড় খেলোয়াড়…জিমি অ্যান্ডারসন, মিচেল স্টার্ক, ট্রেন্ট বোল্ট, জশ হ্যাজলউডসহ সবারই বোলিং দেখি সময় পেলেই। তাঁদের দেখে নিজেকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। তাঁদের মতো করে যেন গড়ে ওঠা যায়, ওই চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছি।
বাংলাদেশে যেটা হয়, লাল বলে পেসারদের ক্যারিয়ার সাধারণত খুব বড় হয় না। এটা নিয়ে কী ভাবেন?
হাসান: আমি চাইছি যেন লম্বা সময় ক্রিকেট খেলা যায়। লাল বলে ক্রিকেট খেলতে নিজেকে ফিট রাখা জরুরি, ওই চেষ্টাও করে যাচ্ছি। শুধু টেস্ট নয়, সব ফরম্যাটেই একটা লম্বা ক্যারিয়ার দেখতে চাই। টেস্টে ৪০০-৫০০ উইকেট নেওয়ার চেষ্টা তো থাকবেই।
টেস্টে বোলিং করার সময় কোন জিনিসটা আপনার কাছে সবচেয়ে জরুরি মনে হয়?
হাসান: উইকেট নেওয়াটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নতুন বলে ব্যাটসম্যানকে বিট করতে পারলে অনেক আনন্দ লাগে। সুইং করে যখন বলটা বেরিয়ে যায়, তখন ভীষণ ভালো লাগে; আউট হলে তো আনন্দটা আরেকটু বেড়েই যায়।
নতুন বলে ভালো করার ব্যাপারটা কি নতুন করে রপ্ত করলেন?
হাসান: আমি আগে থেকেই নতুন বলে বোলিং করতাম। ডেথে তো করিই। আমি দুটিই করতে পারি। নতুন হোক বা পুরোনো, বোলিং করার সময় আমার কাছে এটা খুব একটা বড় ব্যাপার নয়।
আপনার কি মনে হয় এখন বোলিংয়ে আপনি অনেক বেশি পরিণত?
হাসান: ম্যাচের পরিস্থিতিটা পড়তে পারা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ম্যাচের পরিস্থিতি কী হচ্ছে, ওভাবে যদি ডেলিভারি দিতে পারেন, সেটা দলের জন্য ভালো, আপনার নিজের জন্যও। এমনিতেই ক্যারিয়ার যত এগোবে, এ জিনিসগুলো আরও ভালো বুঝতে পারব।
আপনার শরীরী ভাষা খুব একটা আক্রমণাত্মক নয়। পেস বোলারদের জন্য এটা তো একটু ব্যতিক্রমই…
হাসান: যতক্ষণ আমি ভালো করছি, ওটাই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আক্রমণাত্মক হচ্ছি বা হচ্ছি না, এটা হয়তো অন্যদের মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারে, কিন্তু আমার জন্য এটা একদমই কিছু নয়।