এমন হারের পরও যে কারণে ‘খুশি’ কামিন্স
রানের হিসাবে এত কম ব্যবধানে এর আগে অস্ট্রেলিয়া হেরেছে মাত্র পাঁচটি টেস্ট। প্যাট কামিন্সের অধীন দেশের মাটিতে এর আগে টানা ১২ টেস্ট অপরাজিত ছিল তারা, ভেঙেছে সে ধারাও। স্বাভাবিকভাবেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার এমন হারের ক্ষতটা সহজে মিলিয়ে যাওয়ার নয়। তবে অধিনায়ক কামিন্স বলছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের এমন জয় দেখে খুশি হয়েছেন তিনিও।
এ সিরিজের আগে দেশের মাটিতে সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে ক্যারিবীয়দের কাছে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। তার ওপর ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগের চাপে টেস্ট দল গড়তে হিমশিম খাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে এ সফরে ছিলেন অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা সাতজন। স্বাভাবিকভাবেই সিরিজে পরিষ্কার ফেবারিট ছিল অস্ট্রেলিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঘটাতে হতো বড় কোনো অঘটন। সেটিই ঘটিয়েছে তারা।
কামিন্স জানেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এমন জয়ের তাৎপর্য, ‘হ্যাঁ, দেখতেই পাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই হারের পর আঘাত লাগবে। (তবে) তারা আমাদের ছাড়িয়ে গেছে, তারা দুর্দান্ত খেলেছে। আমি জানি এ সিরিজের আগে অনেক কথা হয়েছে—তাদের অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা কয়েকজন, এমন কজন এসেছে, যারা আগে আসেনি। তবে আপনি যখনই একটা আন্তর্জাতিক একাদশ মাঠে নামান, আপনি জানেন কাজটি কঠিন।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের এমন জয়ের যে রূপকথার নায়ক, সেই শামার জোসেফকে এ সফরের আগে কখনো দেখেননি তাঁর অধিনায়ক ক্রেগ ব্রাফেটই। বাকি বিশ্বের মতো অস্ট্রেলিয়ানদের কাছেও তাই তিনি ছিলেন অপরিচিতই। মাত্র সপ্তম প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা সেই জোসেফই গ্যাবায় ভেঙে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ানদের ব্যাটিং লাইনআপ।
জোসেফদের এমন উত্থানে খুশি কামিন্সও, ‘তারা দুর্দান্ত খেলেছে। নতুন কজন তারকার জন্ম নিয়েছে, যাদের এ সিরিজের আগে আমরা চিনতাম না। ক্রিকেট–সমর্থক হিসেবে, টেস্ট ক্রিকেটের সমর্থক হিসেবে আমার সত্তার একটি অংশ তা দেখে খুশি হয়েছে।’
ম্যাচ শেষে দুই দলের একসঙ্গে বিয়ার পানের সময় জোসেফের সঙ্গে জার্সিও অদলবদল করেছেন কামিন্স। পরে সে ছবি পোস্ট করেছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘কী দুর্দান্ত এক অভিষেক সিরিজ, শামার জোসেফ। এরই মধ্যে তারকা বনে গেছ। খেলেছ দারুণ।’
এ টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২২ রানে পিছিয়ে থাকলেও ৯ উইকেটেই ইনিংস ঘোষণা করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ফ্লাডলাইটের আলোয় দ্বিতীয় দিন বোলিংয়ের সুযোগ নিতেই এমন করেছিলেন কামিন্স। ৮ রানে হারা ম্যাচের পর সে সিদ্ধান্ত নিয়েও কথা বলেছেন তিনি, ‘আমরা সে রাতে দুটি সুযোগ তৈরি করেছিলাম, মনে হয়েছিল উইকেট নিতে রাতেই সেরা সুযোগটি আসবে। সেটি কাজে দিয়েছে।’