বিশ্বকাপ ফাইনালে কেন স্কালোনিকে বিভ্রান্ত মনে হয়েছিল দি মারিয়ার

কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালে দি মারিয়াকে বাঁ প্রান্তে খেলিয়ে চমকে দেন স্কালোনিছবি : ফিফা

সাধারণত রাইট-উইং ধরে খেলে অভ্যস্ত আনহেল দি মারিয়া। ডান প্রান্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়দের একজন বিবেচনা করা হয় তাঁকে। তবে বিশ্বকাপ ফাইনালে তাঁকে বাঁ প্রান্তে খেলিয়ে চমকে দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি।

কোচের এমন সিদ্ধান্ত শুরুতে বিস্মিত করেছিল দি মারিয়াকে। এমনকি চোট সেরে এসে শুরুর একাদশে থাকার বিষয়টিও আশা করেননি এই উইঙ্গার। তবে স্কালোনির সেই কৌশল দারুণভাবে কাজে লেগেছিল।

বাঁ প্রান্ত দিয়ে খেলে ফ্রান্সকে নাকাল করে ছেড়ে ছিলেন দি মারিয়া। প্রথম গোলের পেনাল্টি আদায় করার পর দলের দ্বিতীয় গোলটিও এসেছিল তাঁর পা থেকে। সম্প্রতি আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফাইনালে পজিশন বদল করে খেলা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন দি মারিয়া। বলেছেন, ভিন্ন পজিশনে খেলতে হওয়ায় কোচ স্কালোনিকে বিভ্রান্ত মনে হয়েছিল তাঁর।

নিজেকে প্রান্ত বদল করে খেলতে হওয়ায় কী মনে হয়েছিল তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দি মারিয়া বলেছেন, ‘ফাইনালে বাঁ পা পাশে খেলা, এমনকি শুরুর একাদশে থাকার বিষয়টিও আমি আশা করিনি। দল ভালোই খেলছিল, তবে স্কালোনি ফাইনালে আমার ওপর আবার আস্থা রেখেছিলেন। অনুশীলনে আমি বেশ ভালো বোধ করছিলাম।’

বিশ্বকাপ ফাইনালে করা গোলটিকে সবার ওপরে রেখেছেন দি মারিয়া
ছবি : ফিফা

এমনকি সেদিন শুরুতে কোচ স্কালোনিকে বিভ্রান্ত বলেও মনে হয়েছিল দি মারিয়ার, ‘যখন আমি নিজেকে বাঁ পাশে দেখি, ভেবেছিলাম স্কালোনি বিভ্রান্ত। পরে তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন, এই জায়গা দিয়েই আমরা তাদের আক্রমণ করতে যাচ্ছি। আর এই জায়গায় খেলাটা আমার জন্য আনন্দের হবে এবং আমরা পার্থক্য গড়ে দিতে পারব। কারণ, এটা তাদের দুর্বল জায়গা। বাঁ পাশে রেখে তিনি আমাকে বিস্মিত করেছিলেন। তবে এটাই তাঁর কাজ। তিনি জানেন, প্রতিপক্ষের কোথায় আঘাত করতে হবে। এভাবেই আমরা ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।’  

বিশ্বকাপ ফাইনালের ৬৪ মিনিটে দি মারিয়াকে তুলে নেন কোচ স্কালোনি
ছবি : ফিফা

বিস্ময়টা ফাইনালে নিজের পজিশন দেখেই শুধু নয়, দেশে ফিরে বুয়েনস এইরেসে মানুষ উদ্‌যাপন দেখেও জেগেছিল দি মারিয়ার। তিনি বলেছেন, ‘আমরা জানতাম উৎসবটা বাঁধনহারা হবে। কারণ, প্রতিটি ম্যাচের আমরা দেখেছিলাম মানুষ কীভাবে বেরিয়ে এসে উদ্‌যাপন করছে। তবে দেশে পৌঁছে আমরা যা দেখেছিলাম, তা আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি। মানুষ যেভাবে কাঁদছিল এবং ধন্যবাদ দিচ্ছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সেটা সত্যিই আমাদের হৃদয় স্পর্শ করেছে এবং আমরা এটা বেশ উপভোগ করেছিলাম।’

আরও পড়ুন