হয়ে গেল বেলুন বিশ্বকাপ
এ খেলা কে না খেলেছে?
বেলুন ফুলিয়ে বেঁধে ফেলো। আর হাত দিয়ে ধাক্কা দিয়ে সেটাকে বাতাসে রাখার চেষ্টা করো। কোনো কারণে সেটা মেঝে স্পর্শ করলেই আউট। ঘরের ছোট গণ্ডিতে সময় কাটানোর খুব ভালো একটা পদ্ধতি। এবার সে খেলাটারই যদি বিশ্বকাপ খেলার আমন্ত্রণ জানানো হয়?
বার্সেলোনা ডিফেন্ডার ও ফুটবল বিশ্বকাপজয়ী জেরার্দ পিকে সেটাই করেছেন। প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছেন বেলুন বিশ্বকাপের। সে বিশ্বকাপে নিজেকে সবার সেরা প্রমাণ করেছেন পেরুর ফ্রান্সেসকো দে লা ক্রুজ। বিশ্বের প্রথম বেলুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এখন দে লা ক্রুজ।
পিকের সঙ্গে এমন ব্যতিক্রম কিছু আয়োজনে যোগ দিয়েছিলেন ইন্টারনেট সেলিব্রিটি ইবাই ইয়ানোস। ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট টুইচ ও ইউটিউবে ভিডিও প্রকাশ করার জন্য বিখ্যাত হয়ে ওঠা ইয়ানোস গত কিছুদিনে লিওনেল মেসি, সের্হিও রামোস, পাওলো দিবালা, সের্হিও আগুয়েরোদের সাক্ষাৎকার নিয়ে বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন। পিকের সঙ্গে আগেই ব্যবসায়িক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ইয়ানোস। এবার দুজন মিলেই আয়োজন করলেন প্রথম বেলুন বিশ্বকাপ।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্পেনের কাতালানের তারাগোনায় হয়ে গেল এই ব্যতিক্রমী বিশ্বকাপ। ৮ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৮ মিটার প্রস্থের একটি কোর্ট সৃষ্টি করা হয়েছিল এই বিশ্বকাপের জন্য। আর সে কোর্টে ফেলে রাখা হয়েছিল কিছু আসবাব, একটি লিভিং রুমে যেমনটা থাকে। সেই সঙ্গে ছোট একটি গাড়িও ছিল। এবার দুজন খেলোয়াড়ের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল, বেলুনটাকে বাতাসে রাখো!
এমন এক আয়োজন করতে পেরে উচ্ছ্বসিত পিকে বলেন, ‘এটা দারুণ ছিল, একদম ভিন্ন কিছু। মাঝে মাঝে নিজের চেনা গণ্ডির বাইরে গিয়ে নতুন কিছু করা দরকার।’
কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের অরিগনের আরেন্দোন্দো পরিবারের তিন ভাইবোন—আন্তোনিও, দিয়েগো ও ইসাবেল এমন এক খেলার আয়োজন করে টিকটকে শেয়ার করেন। সেটি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল তখন। সেখান থেকে এই বিশ্বকাপ আয়োজনের চিন্তা করেছেন পিকে। ৩২টি দেশ থেকে এই বিশ্বকাপে অংশ নিতে এসেছেন অনেকে। তাঁদের মধ্যে আন্তোনিও ও দিয়েগোও ছিলেন।
এমন একটি আয়োজনের কৃতিত্ব নিতেই পারেন আন্তোনিও। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় এটা খেলেছি আমরা। সঙ্গনিরোধের শুরুতে আবার এই খেলাটা খেলার ইচ্ছা হলো। আমাদের মধ্যে তর্ক বেধেছিল—বেলুন মেঝেতে লেগেছে কি লাগেনি; তাই আমরা স্লো মোশন ভিডিও করছিলাম বেলুন মেঝেতে লাগছে কি না, তা দেখার জন্য। এরপর তো আমাদের ভিডিও টিকটকেই দিয়ে দিলাম। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি প্রায় ১০ লাখ মানুষ সেটি পছন্দ করেছে। এরপর আমরা খেলা চালিয়ে গেছি এবং একসময় পিকে ও ইবাইয়ের নজরে পড়ে গেলাম।’
বিশ্বকাপে অবশ্য জয়ীর হাসিটা দে লা ক্রুজের। পেরুর এই খেলোয়াড় ৬-২ ব্যবধানে হারিয়েছেন জার্মানির ইয়ান স্পাইসকে, ‘আমি খুবই, খুবই খুশি। এটা অর্জন করায় খোদাকে ধন্যবাদ।’