জাতীয় অ্যাথলেটিকসে এবার প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেছেন যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ইমরানুর রহমান। আজ বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার ১০০ মিটার স্প্রিন্টে প্রথম হয়ে দেশের দ্রুততম মানব হয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জার্সিতে খেলেছেন ইমরানুর।
প্রথমবার দৌড়াতে এসেই ২২ বছরের রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ডে ১০.৫০ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেছেন ২৮ বছরের এই অ্যাথলেট। ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ডে এটাই বাংলাদেশের রেকর্ড। ১৯৯৯ সালে প্রয়াত মাহাবুব আলম ১০.৫৪ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়েছিলেন। দেশে হ্যান্ড টাইমিংয়ের রেকর্ড ইসমাইলের, ২০১৯ সালে ১০.২০ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেছিলেন তিনি।
ইমরানুরের আলো ছড়ানোর দিনে ১০০ মিটারে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর রাকিবুল হাসান ও মোহাম্মদ ইসমাইল। রাকিবুল সময় নিয়েছেন ১০.৬৬ সেকেন্ড ও সদ্য দ্রুততম মানব হয়ে যাওয়া ইসমাইলের সময় ১০.৬৯।
শিরিন আক্তারকে হটিয়ে দ্রুততম মানবী হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) সুমাইয়া দেওয়ান। ১২.৩২ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন সুমাইয়া। টানা ১২ প্রতিযোগিতায় দ্রুততম মানবী হওয়ার পর আজ দ্বিতীয় হয়েছেন শিরিন। ১২.৩৬ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন নৌবাহিনীর এই অ্যাথলেট। তৃতীয় হওয়ার পথে ১২.৫৪ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন সেনাবাহিনীর শরিফা খাতুন।
সব ছাপিয়ে আজ আলোচনায় প্রবাসী ইমরানুর। জাতীয় অ্যাথলেটিকসে অংশ নেওয়ার জন্য কয়েক দিন আগে লন্ডন থেকে ঢাকায় আসেন ইমরান। প্রথম দৌড়েই বাজিমাত করলেন ২৮ বছর বয়সী এই স্প্রিন্টার। ইংল্যান্ডে ১৬-১৭ বছর বয়সে অ্যাথলেটিকসে নাম লেখান ইমরান। ২০১৪ ও ২০১৬ সালে ব্রিটিশ ইউনিভার্সিটি ইনডোর অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় ৬০ মিটার স্প্রিন্টে সেরা হয়েছেন।
বেশ কয়েক বছর পর ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ডে শুরু হয়েছে জাতীয় অ্যাথলেটিকস। তবে স্কোরবোর্ড নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা আছে। ইলেকট্রনিক স্কোর বোর্ডে দৌড় শুরুর সময় বন্দুক ব্যবহার করা হয়। যার সঙ্গে যুক্ত থাকে সেন্সর। কিন্তু আজ ব্যবহার করা হয়েছে কাঠের যন্ত্র। যদিও সেটার সঙ্গে সেন্সর যুক্ত আছে বলে দাবি ফেডারেশনের কর্তাদের।