ভালো কিছু করার স্বপ্ন নিয়ে আবদুল্লাহ হেল বাকি নেমেছিলেন টোকিও অলিম্পিকের আশাকা শুটিং রেঞ্জে। বাংলাদেশ সময় আজ সকাল ১০টায় শুরু হওয়া ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের ছেলেদের বাছাইয়ে তাঁর পদচারণটা ভালো হয়নি।
কমনওয়েলথ গেমসে দুবারের রুপাজয়ী শুটারের স্বপ্ন ছিল অলিম্পিকের ফাইনালে খেলা। কিন্তু সেই সুযোগ আর পেলেন কোথায়?
আজ ৬১৯.৮ স্কোর করে বাছাইয়ে ৪৭ জনের মধ্যে ৪১তম হয়েছেন বাকি। ৬৩২.৭ পয়েন্ট পেয়ে চীনের হাওরান ইয়াং শীর্ষস্থানে থেকে চূড়ান্ত পর্বে উঠেছেন। তিনি বাছাইয়ে গড়লেন অলিম্পিক রেকর্ড। আর অষ্টম হয়ে চূড়ান্ত পর্বে যাওয়া সর্বশেষ শুটার চীনের লিহাও শেংয়ের পয়েন্ট ৬২৯.২। লিহাওয়ের চেয়েও যেখানে ৯.৪ পয়েন্ট পিছিয়ে ছিলেন বাকি!
বাকির এটা দ্বিতীয় অলিম্পিক। এর আগে ২০১৬ রিও অলিম্পিকে বাছাইয়ে ৬২১.২ স্কোর করে ৫০ জনের মধ্যে ২৫তম হয়েছিলেন। এবার তো রিও অলিম্পিকের স্কোরও করতে পারলেন না বাকি! অথচ ক্যারিয়ারে নিজের সেরা স্কোর টপকে যাওয়ার আশায় ছিলেন তিনি। জার্মানি বিশ্বকাপে ৬২৪.৮ পয়েন্ট এখন পর্যন্ত বাকির সর্বোচ্চ স্কোর। সেই স্কোর টোকিওতেও ছাপিয়ে যেতে পারেননি।
এবার টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেননি বাকি। তাই অলিম্পিকে যেতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) বিশেষ ব্যবস্থায় পাওয়া ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে টোকিওতে গেছেন নৌবাহিনীর শুটার।
অতীতে বেশ কিছু টুর্নামেন্টে দেখা গেছে বাকি স্নায়ুচাপের কাছে হার মানেন। ফাইনালে ওঠার মতো স্কোরের ধারেকাছেও যেতে পারেন না। ফলে বারবার খালি হাতে ফিরতে হয় বাকিকে। বাংলাদেশের শুটারদের আসল সমস্যা মূলত এখানেই। অনুশীলনে ভালো স্কোর করলেও প্রয়োজনের সময় জ্বলে উঠতে পারেন না।
স্কোরের ধারাবাহিকতার অভাবটাই আসলে ডুবিয়েছে বাকিকে। সাধারণত ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের বাছাইয়ে একজন শুটার ৬০টি শট নেওয়ার সুযোগ পান। প্রতিটি শটের জন্য স্কোর ১০.৯ পয়েন্ট। যেখানে সেরা আটে ওঠা প্রত্যেক শুটার ১০ পয়েন্টের কমে কোনো শটই নেননি, সেখানে টানা কয়েকটি শট ৯–এর ঘরে মেরেছেন বাকি।
প্রথম ৯টি শটে বাকি ১০–এর ওপর পয়েন্ট তুলে নেন। কিন্তু ১০ নম্বর শটে এসে প্রথম মারেন ৯.৪। এরপর টানা ৮টি শট দশের ওপর মারলেও ১৯তম শটে মারেন ৯.৭। এ ছাড়া ২৩ ও ২৪তম শটে মেরেছেন ৯.৮ ও ৯.৬। এভাবে কখনো দশের ওপর, কখনো ৯–এর ঘরে পয়েন্ট পেরেছেন। সব মিলিয়ে ৯–এর ঘরে শট মেরেছেন ১০ বার। আসলে এই দুর্বল শটগুলোতেই পিছিয়ে পড়েছেন বাকি। এভাবে বারবার পিছিয়ে পড়ে আর প্রতিযোগিতায় ফেরাই হয়নি।