বিশ্ব রেকর্ড গড়ে সাঁতারে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম সোনা

সাঁতার শেষে টাইমিংয়ে তাকিয়ে তাতানা শোয়েনমেকারের চোখে বিস্ময়। বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন, নিজেও হয়তো ভাবতে পারেননি! দক্ষিণ আফ্রিকার সাঁতারু আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। পুলের পানিতে ভেসে গেল তাঁর চোখের জল।

বার্সেলোনায় ২০১৩ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদের ২০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোক ২ মিনিট ১৯.১১ সেকেন্ডে শেষ করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন ডেনমার্কের রিকে মোলের পেডেরসেন। টোকিও অলিম্পিকে আজ ৮ বছর আগের সেই রেকর্ড ভাঙলেন শোয়েনমেকার। ২ মিনিট ১৮.৯৫ সেকেন্ডে সাঁতার শেষ করে সোনার পদক জিতেছেন তিনি। টোকিও অলিম্পিকে দক্ষিণ আফ্রিকার এটাই প্রথম সোনার পদক জয়।

মেয়েদের ব্রেস্ট স্ট্রোকে ‘বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে খ্যাত এবং এই ইভেন্টের ১০০ মিটারে বিশ্ব রেকর্ডধারী যুক্তরাস্ট্রের লিলি কিংও শোয়েনমেকারের সঙ্গে পেরে ওঠেননি। ২ মিনিট ১৯.৯২ সেকেন্ডে সাঁতার শেষ করে রুপা জিতেছেন লিলি। তাঁর সতীর্থ অ্যানি লেজর জিতেছেন ব্রোঞ্জ (২ মিনিট ২০.৮৪ সেকেন্ড)।

১০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে রুপাজয়ী শোয়েনমেকার হিটেই বিশ্ব রেকর্ড ভাঙার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ফাইনালে এসে তা করে দেখালেন তিনি। যদিও ৫০ মিটার ও ১০০ মিটার দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার সময় লিলি কিংই এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে শোয়েনমেকারের পেছনে পড়তে হয়। ১৯৯৬ আটলান্টা অলিম্পিকের সাঁতারে ১০০ মিটার ও ২০০ মিটারের ব্রেস্ট স্ট্রোকে সোনা জিতেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেনি হেইনস। এই ২৫ বছরে অলিম্পিকে প্রথম নারী হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সাঁতারে সোনা এনে দিলেন শোয়েনমেকার।

টোকিও অলিম্পিকে সাঁতারের ব্যক্তিগত ইভেন্টে এটাই প্রথম বিশ্ব রেকর্ডের নজির। শোয়েনমেকার ব্যক্তিগত ইভেন্টে এই বিশ্ব রেকর্ড গড়ার আগে ৪ গুণিতক ১০০ মিটার রিলে সাঁতারে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা এবং ৪ গুণিতক ২০০ মিটার রিলে সাঁতারে চীনের মেয়েরা বিশ্ব রেকর্ড গড়েন।