ফ্লাইটে উত্ত্যক্ত করায় সহযাত্রীকে টাইসনের পিটুনি
আনুষ্ঠানিকভাবে পেশাদার বক্সিং ছেড়েছেন সেই ১৭ বছর আগে।
কিন্তু মাইক টাইসন মানেই আকর্ষণ, নতুন খবর। যে কারণে প্রদর্শনী ম্যাচ কিংবা বিভিন্ন রেসলিং প্রতিষ্ঠানের হয়ে চেহারা দেখিয়ে এখনো বেশ ভালোই বেঁচেবর্তে আছেন সাবেক এই হেভিওয়েট বক্সার। এবার যে কারণে খবর হয়েছেন, তাতে অবশ্য গর্বের চেয়ে গ্লানিই বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে ফ্লোরিডায় যাচ্ছিলেন টাইসন। সেখানেই এক তথাকথিত ভক্ত উত্ত্যক্ত করে যাচ্ছিলেন তাঁকে। হয়তো টাইসনের মনোযোগ আকর্ষণ করে পরিচিতি পাওয়াই উদ্দেশ্য ছিল!
টাইসনের পেছনে কেবিনেই বসেছিলেন সেই ভক্ত। পেছন থেকেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জ্বালাতন করছিলেন টাইসনকে। সাধারণ মানুষই যেখানে উত্ত্যক্ত হলে প্রতিক্রিয়া দেখান, সেখানে ইনি তো টাইসন, ধরাধামের ‘সবচেয়ে বাজে মানুষ’ হিসেবে ‘কুখ্যাতি’ যার! টাইসনই-বা চুপচাপ থাকেন কী করে।
কিছুক্ষণ সহ্য করলেন, এরপর আর পারলেন না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা গেল, পেশাদার ক্যারিয়ারে যেভাবে প্রতিপক্ষকে ঘুষির পর ঘুষি মেরে নকআউট করতেন, ঠিক একইভাবে সেই সহযাত্রীকে পেটাচ্ছেন টাইসন! ততক্ষণে সেই সহযাত্রীর বোঝা হয়ে গিয়েছে, টাইসনের সঙ্গে যা ইচ্ছা তা-ই করে পার পাওয়া যাবে না!
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, টাইসনের দেখা পেয়ে আপ্লুত সেই সহযাত্রীর সঙ্গে শুরুতে বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণই করেছিলেন টাইসন। কিন্তু পরে সেই মাতাল যাত্রী একের পর এক কাণ্ড ঘটিয়ে উত্ত্যক্ত করে যাচ্ছিলেন টাইসনকে। ব্যস, আর সহ্য হয়নি সাবেক হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নের। ইচ্ছেমতো পিটিয়েছেন। পরে উড়োজাহাজ ফ্লোরিডায় পৌঁছালে সেই যাত্রীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
টাইসন নিজে এ ব্যাপারে কিছু না বললেও তাঁর মুখপাত্র আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছেন।
জানিয়েছেন, সেই ভক্ত টাইসনের দিকে পানির বোতলও ছুড়ে মেরেছেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজ ফ্লাইটে মাইক টাইসনের সঙ্গে এক অভব্য ভক্তের সংঘর্ষ হয়, যিনি ক্রমাগত বিরক্ত করছিলেন টাইসনকে। পানির বোতলও ছুড়েছেন। সেই ভক্তের এমন কাজ করার আগে দুবার চিন্তা করা উচিত ছিল যে একজন সেলিব্রিটির সঙ্গে কীভাবে ব্যবহার করা উচিত।’