নারীদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য, পদত্যাগই করতে হচ্ছে তাঁকে
কিছুদিন আগে নারীদের নিয়ে বেফাঁস এক মন্তব্য করে ফেঁসেছিলেন টোকিও অলিম্পিকের আয়োজক কমিটির প্রধান ইয়োশিরো মোরি। ব্যাপক সমালোচনার মুখে তিনি শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করার কথা বলেছেন।
অলিম্পিক কমিটির নির্বাহী পরিষদের এক সভায় তিনি নারীদের নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছিলেন, যেটি জাপানজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিও তাঁর এই বক্তব্যকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ ও ‘অলিম্পিক চেতনার পরিপন্থী’ হিসেবে অভিহিত করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে রীতিমতো ধুয়ে ফেলা হয়।
সেই বৈঠকে কী বলেছিলেন মোরি? তাঁর বক্তব্য ছিল নারীর প্রতি অবমাননাকর। তিনি বলেছিলেন, ‘নারীরা বেশি কথা বলেন এবং একে অন্যের প্রতি প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব পোষণ করেন। নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে নারীদের যোগ দিতে দেওয়ার অর্থই হচ্ছে বৈঠকটি দ্বিগুণ সময় ধরে চলা।’
মোরির এই পরিণতি অবাক করেছে জাপানের অনেককেই। কারণ, রাজনীতিক হিসেবে তিনি পরিশীলিত হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। অন্যদের তুলনায় কথাবার্তা বলার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অনেকটাই সাবধানী। বয়সের কারণেই তিনি হঠাৎ করেই বেসামাল মন্তব্য করেছেন বলে মনে করেন অনেকেই।
১৯৬৯ সালে তিনি প্রথমবারের মতো জাপানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১২ সাল পর্যন্ত মোট ১৪ বার তিনি পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হন। মন্ত্রী হিসেবেও জাপান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এমনকি ২০০০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রায় এক বছর তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
মোরির জায়গায় আয়োজক কমিটির প্রধান হিসেবে এখন ভাবা হচ্ছে সাবুরো কাওয়াগুচির নাম। তিনি ১৯৯৩ সালে চালু হওয়া জাপানের পেশাদার ফুটবল লিগ ‘জে লিগে’র প্রথম সভাপতি ছিলেন।
২০২০ সালের জুলাই–আগস্টে জাপানের রাজধানী টোকিওতে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনা অতিমারির প্রাদুর্ভাবে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অলিম্পিক স্থগিত হয়ে যায়। এটি এ বছর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু সেটি আদৌ হবে কি না, তা নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি কতটা হয়, সেটির ওপর।
মোরির জায়গায় আয়োজক কমিটির প্রধান হিসেবে এখন ভাবা হচ্ছে সাবুরো কাওয়াগুচির নাম। তিনি ১৯৯৩ সালে চালু হওয়া জাপানের পেশাদার ফুটবল লিগ ‘জে লিগে’র প্রথম সভাপতি ছিলেন। জাপানের ফুটবলকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসার পেছনে তাঁর বড় অবদান আছে। ২০০২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের যৌথ আয়োজক ছিল জাপান। কাওয়াগুচি সেই আয়োজনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।