নারীদের ভারোত্তোলনে ৪৯ কেজি বিভাগে চীনের কাছে সোনার পদক হাতছাড়া করেছে ভারত। চীনের হোউ ঝিহুই হারিয়েছেন ভারতের চানু সাইখোম মীরাবাঈকে।
টোকিও অলিম্পিকে ভারোত্তোলনে প্রথম সোনার পদক গেল চীনের ঝুলিতে। রুপার পদক জিতে চানু মীরাবাঈ টোকিও অলিম্পিকে ভারতের প্রথম পদক জয় নিশ্চিত করেছেন।
তবে দেশটির প্রথম নারী অ্যাথলেট হিসেবে অলিম্পিকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে শুটিংয়ে সোনার পদক জিতেছিলেন অভিনব বিন্দ্রা। বিন্দ্রার পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে অলিম্পিকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনার পদক জেতা হলো না চানুর।
হোউ ঝিহুই তৃতীয় চেষ্টায় ৯৪ কেজি ওজন তোলেন। নিজের গড়া বিশ্ব রেকর্ডের চেয়ে তা কম হলেও চানুর চেয়ে ৭ কেজি ব্যবধানে এগিয়ে যান।
২০১৭ সালে ৪৮ কেজি ওজন শ্রেণিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন চানু মীরাবাঈ শেষ পর্যন্ত সব মিলিয়ে হোউ ঝিহুইয়ের (২১০ কেজি) সঙ্গে ৮ কেজি ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েন। তৃতীয় হয়ে ব্রোঞ্জ পদক জেতেন ইন্দোনেশিয়ার উইন্ডি কান্তিকা আইশা। ১৯৪ কেজি ওজন তুলেছেন তিনি।
টোকিও অলিম্পিকে ভারতের একমাত্র ভারোত্তোলক হিসেবে গিয়েছেন চানু। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে রেকর্ড গড়ে ১১৯ কেজি উত্তোলন করে ভারতীয়দের আশা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সোনার পদক জেতা না হলেও, পদক জয়ের আশা ঠিকই পূরণ হয়েছে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ, কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতলেও অলিম্পিকে একটুর জন্য হাতছাড়া হয়ে গেল গৌরব।
তবে ভারতের দ্বিতীয় নারী ভারোত্তোলক হিসেবে অলিম্পিকে পদক জিতলেন তিনি। এর আগে ২০০০ সালের সিডনি অলিম্পিকে ৬৯ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ জেতেন কারানাম মল্লেশ্বরী।
এবার ভারোত্তোলনে চীন বেশ শক্তিশালী দল পাঠিয়েছে। চারজন করে পুরুষ ও নারী ভারোত্তোলক গিয়েছেন সোনার পদক জয়ের আশায়।
যেহেতু মূল প্রতিদ্বন্দ্বী উত্তর কোরিয়া আসেনি, সেহেতু এই বিভাগগুলোয় প্রত্যেক চীনা খেলোয়াড়ের সোনার পদক জয়ের আশা বেড়েছে বহুগুণ। হোউ ঝিহুইয়ের সোনার পদক যেন সেটারই প্রমাণ।
সোনা জিততে না পারলেও চানুকে নিয়ে ভারতে মাতামাতি কম হচ্ছে না। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মোদি লিখেছেন, ‘এর চেয়ে বেশি আনন্দের খবর কিছু হতেই পারে না। ভারতের সম্মান বাড়িয়ে দিয়েছেন চানু। তাঁকে শুভেচ্ছা জানাই ভারোত্তোলনে রুপা জেতার জন্য। ওঁর সাফল্য ভারতীয়দের অনুপ্রাণিত করবে।’