অলিম্পিকে আর খেলবেন না মারে?
চিকিৎসক দলের সঙ্গে পরামর্শ করে অলিম্পিকের একক থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, শুধু দ্বৈতে খেলবেন জো সালিসবিউরির সঙ্গে। এবার সেই প্রতিযোগিতা থেকেও বিদায় নিয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী মারে। কোয়ার্টার ফাইনালেই বিদায় নিয়েছেন ব্রিটেনের এই টেনিস তারকা।
মারে-সালিসবিউরি জুটি হেরে গেছে ক্রোয়েশিয়ার মারিন চিলিচ ও ইভান দোদিগের কাছে, ৬-৪, ৬-৭, ৭-১০ গেমে।
অলিম্পিকে টেনিসের পুরুষ এককের টানা দুবারের সোনাজয়ী তিনি। ২০১২ লন্ডন আর ২০১৬ রিও অলিম্পিকে সোনা জয়ের পর এবার টোকিওতেও এসেছিলেন গৌরবের হ্যাটট্রিক করতে। কিন্তু চোট সে সুযোগ দেয়নি গ্রেট ব্রিটেনের টেনিস তারকা অ্যান্ডি মারেকে। এককের পর দ্বৈত থেকেও ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে।
প্রথম সেটে বেশ ভালোভাবেই জিতেছিলেন মারে-সালিসবিউরি জুটি। এমনকি দ্বিতীয় সেটেও ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা।
কিন্তু এরপরেই সঙ্গী দোদিগকে নিয়ে দারুণভাবে ফিরে আসেন ২০১৪ ইউএস ওপেনজয়ী মারিন চিলিচ।
দ্বিতীয় সেটটা টাইব্রেকে জিতে নেন চিলিচ-দোদিগ। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তৃতীয় সেটটা জিতে নিয়ে সেমিতে উঠে যান চিলিচ-দোদিগ। ওদিকে ব্রিটেনকে ফিরতে হয় খালি হাতে।
ম্যাচ হেরে মারে যথারীতি হতাশ। ম্যাচ–পরবর্তী বক্তব্যে সেই হতাশাটাই ফুটে উঠেছে। আগামীতে আর অলিম্পিকে খেলতে পারবেন কি না, সেটা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে তাঁর কথায়।
‘আমি জানি না আমি আবার অলিম্পিকে খেলতে পারব কি না। অলিম্পিকে খেলা প্রতিটা মুহূর্ত আমি অনেক উপভোগ করেছি। খুব ভালো হতো যদি আজকের ফলটা অন্য রকম হতো’ - বলেছেন মারে।
তীরে এসে তরী ডোবার আক্ষেপও ছিল মারের কণ্ঠে, ‘জো–র সঙ্গে পদক জেতার একটা সম্ভাবনা ছিল এবার। অনেক কাছাকাছিও চলে গিয়েছিলাম আমরা। যে কারণে আরও বেশি হতাশ লাগছে। কিছু কাজ অন্যভাবে করলে হয়তো ম্যাচটা জিততে পারতাম। খুব খারাপ লাগছে।’