ডুপ্লান্টিসের হাতে পোল মানেই যেন বিশ্ব রেকর্ড
ডায়মন্ড লিগের শিয়ামেন মিট—পোল ভল্টের বারটা ৬ দশমিক ২৪ মিটারে তুলতে বললেন আরমান্দ ‘মোন্দো’ ডুপ্লান্টিস। উঁচু সেই বারের দিকে তাকিয়ে দর্শক-সমর্থকেরা ক্ষণ গুনছিলেন, পোল হাতে কখন দৌড় দেবেন প্রিয় তারকা, কখনই–বা দেবেন চূড়ান্ত লাফটা। তিনি পারবেন তো? এ বছরেই এপ্রিলে চীনের শিয়ামেনে সেদিন ডুপ্লান্টিস পেরেছিলেন।
প্যারিস অলিম্পিক ২০২৪—৬ মিটার উচ্চতা পেরিয়ে সোনার পদক আগেই নিশ্চিত করেছিলেন, ৬.১০ মিটার উচ্চতা পেরিয়ে গড়ে ফেলেছিলেন অলিম্পিক রেকর্ডও। এরপর বারটা আরও ১ সেন্টিমিটার উঁচুতে ৬.২৫ মিটারে তুলতে বললেন ডুপ্লান্টিস। উদ্দেশ্য স্পষ্ট—আরেকবার নিজের বিশ্ব রেকর্ড ভাঙার চেষ্টা করবেন। ৬ আগস্ট ডুপ্লান্টিসের সে চেষ্টাও সফল হয়েছিল।
এবার পোল্যান্ডের সিলেসিয়ায় ডায়মন্ড লিগ। সোনা যে ডুপ্লান্টিস জিতবেন, এ নিয়ে কারও মনেই হয়তো সন্দেহ ছিল না। প্রশ্ন ছিল—কদিন আগে গড়া নিজের বিশ্ব রেকর্ডটা আরেকবার ভাঙতে পারবেন সুইডিশ-আমেরিকান পোল ভল্টার? গতকাল বারটা ৬.২৬ মিটারে তুলতে বলে সেটা পেরিয়ে গেলেন ডুপ্লান্টিস। আরও একবার গড়লেন বিশ্ব রেকর্ড! এ মৌসুমে এ নিয়ে তিনবার নিজেরই গড়া বিশ্ব রেকর্ড ভাঙলেন ডুপ্লান্টিস, সব মিলিয়ে ১০ বার।
ডুপ্লান্টিসের বিশ্ব রেকর্ড ভাঙার এই খেলা শুরু হয় মূলত ২০১৭ সালে। সে বছর যুক্তরাষ্ট্রে অনূর্ধ্ব–২০ পর্যায়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন ৫.৯০ মিটার উচ্চতা অতিক্রম করে। পরের বছর অনূর্ধ্ব–২০ পর্যায়েরই বিশ্ব রেকর্ড আবার ভাঙেন তিনি। বার্লিনে সে বছর পেরিয়েছিলেন ৬.০৫ মিটার উচ্চতা।
সিনিয়র পর্যায়ে ডুপ্লান্টিসের বিশ্ব রেকর্ড ভাঙার শুরুটা ২০২০ সালে। একটা সময় মনে হতো, কিংবদন্তি সের্গেই বুবকার লাফানো ৬.১৪ মিটার উচ্চতা পেরোনো আর কারও পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়। ২০১৪ সালে সেই ধারণা ভাঙেন রেনো লাভিলেনি। ৬.১৬ মিটার লাফিয়ে বুবকার রেকর্ড ভাঙেন ফরাসি পোল ভল্টার।
২০২২ সালে নিজের রেকর্ড ডুপ্লান্টিস ভাঙেন আরও তিনবার—লাফান ৬.১৯, ৬.২০ ও ৬.২১ মিটার উচ্চতা। গত বছর দুবার (৬.২২ ও ৬.২৩ মিটার) আর এ বছর নিজের রেকর্ডটা তিনবার ভাঙলেন ২৪ বছর বয়সী পোল ভল্টার।
সিলেসিয়াতে বিশ্ব রেকর্ড হয়েছে ৩ হাজার মিটার দূরপাল্লার দৌড়েও। নরওয়ের ২৩ বছর বয়সী দূরপাল্লার দৌড়বিদ ইয়াকব ইঙ্গেব্রিগটসেন এই ইভেন্টে ভেঙেছেন ২৮ বছরের পুরোনো কেনিয়ার ড্যানিয়েল কোমেনের বিশ্ব রেকর্ড। ইঙ্গেব্রিগটসেন দৌড় শেষ করেছেন ৭ মিনিট ১৭.৫৫ সেকেন্ডে। ১৯৯৬ সালে কোমেন দৌড়েছিলেন ৭ মিনিট ২০.৬৭ সেকেন্ডে।