ছেলেদের ১০০ মিটার দৌড়ে যে কীর্তি যুক্তরাষ্ট্র গড়েছে, মেয়েদের বিভাগে সে কীর্তিটাই গড়ে দেখাল জ্যামাইকা। বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদের ১০০ মিটার দৌড়ে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়—তিন পদকই গেছে জ্যামাইকার ঘরে। স্বদেশি শেরিকা জ্যাকসন ও এলেইন থম্পসন-হেরাকে টপকে ৩৫ বছর বয়সী কিংবদন্তি স্প্রিন্টার শেলি-অ্যান ফ্রেজার-প্রাইস জিতেছেন সোনা।
১০.৬৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে দৌড় শেষ করেছেন ফ্রেজার-প্রাইস। ব্যক্তিগত সেরা টাইমিং (১০.৭৩ সেকেন্ড) করেও সোনার পদক জোটেনি শেরিকা জ্যাকসনের কপালে, তিনি হয়েছেন দ্বিতীয়। ১০.৮১ সেকেন্ড সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন অলিম্পিকে দুবারের ডাবল বিজয়ী থম্পসন-হেরা। এই নিয়ে পাঁচবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের এই ইভেন্টে সোনা জিতলেন ফ্রেজার-প্রাইস।
এর আগে অন্য কোনো দেশ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদের ১০০ মিটার ইভেন্টের তিন-তিনটা পদক একসঙ্গে জেতেনি। অলিম্পিকে যদিও এই কীর্তি বিশ্ব দেখেছে দুবার, দুবারই জ্যামাইকার কল্যাণে। গত টোকিও অলিম্পিক আর ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে এই কীর্তি গড়েছিলেন জ্যামাইকার মেয়েরা।
ছেলেদের দৌড়ে একই কীর্তি গতকাল গড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্বদেশি মার্ভিন ব্র্যাসি ও ট্রেভন ব্রোমেলকে পেছনে ফেলে সোনা জিতেছেন টোকিও অলিম্পিকের রুপাজয়ী ফ্রেড কার্লি। ১৯৯১ সালের পর এই প্রথমবারের মতো ছেলেদের ইভেন্টে এই কীর্তি করে দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই ইভেন্টে ক্যারিয়ারে পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পাশাপাশি দুবার অলিম্পিকেও সোনা জিতেছেন ফ্রেজার-প্রাইস।
এই বয়সে এসেও নিজের জয়ক্ষুধা দেখে নিজেই আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছেন ফ্রেজার-প্রাইস, ‘আমার অর্জিত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপাগুলোর মধ্যে এটাই সবচেয়ে বেশি পছন্দের, কারণ ৩৫ বছর বয়সে এসে এই কীর্তি গড়েছি আমি। হ্যাঁ, আমি ৩৫-ই বলেছি, ভুল শোনেননি! আমি যখনই সুস্থ থাকব, তখনই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আমি ক্ষুধার্ত, সব সময় উন্নতি করার জন্য মুখিয়ে আছি। আমি সব সময় বিশ্বাস করি আমি আরও জোরে দৌড়াতে পারি। আমি যেদিন নিজেকে নিয়ে এটা বিশ্বাস করব না, সেদিন আমি ট্র্যাকেই নামব না। ৩৫ বছর বয়সে এসেও এমন পারফর্ম করে যাচ্ছি, বাচ্চার মা হওয়ার পরেও, আশা করি বিশ্বের অন্যান্য মেয়েদের অনুপ্রাণিত করতে পারব।’