কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থকড়ি, বিশেষ নম্বর প্লেটের গাড়ি—উপহারের বন্যায় ভাসছেন আরশাদ নাদিম
অলিম্পিক রেকর্ড গড়ে পাকিস্তানকে জ্যাভেলিন থ্রোয়ে সোনা এনে দিয়েছেন আরশাদ নাদিম। ১৯৮৪ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে ফিল্ড হকি ইভেন্টে সোনা জয়ের ৪০ বছর পর নাদিমের সৌজন্যে আবারও অলিম্পিকে সোনা জিতল পাকিস্তান। অলিম্পিকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে পাকিস্তানের এটিই প্রথম সোনা। আরশাদ নাদিমের ঐতিহাসিক এই সাফল্য স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানজুড়ে উদ্যাপন করা হচ্ছে। পুরস্কারের বন্যায় ভাসছেন নাদিমও।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, গতকাল পর্যন্ত শুধু পুরস্কার হিসেবে মোট ৮ লাখ ৯৭ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ কোটি ৪৭ লাখ ৪২ হাজার টাকা) পেয়েছেন আরশাদ। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ইসলামাবাদে নাদিমের সম্মানে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তাঁকে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ডলার অর্থ পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন। তার আগে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়াম নওয়াজ তাঁর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ডলারের চেক উপহার দেন।
শুধু তা–ই নয়, নওয়াজ নাদিমের হাতে নতুন একটি গাড়ির চাবিও তুলে দেন। সেই গাড়ির নিবন্ধন নম্বরও নাদিমের জন্য বিশেষ কিছু—‘PAK 92.97’। কিছু বোঝা গেল? ‘পাক’ তো পাকিস্তান নামের সংক্ষেপ। আর গাণিতিক সংখ্যাটি প্যারিস অলিম্পিকে আরশাদের অর্জন। ৯২.৯৭ মিটার দূরত্বে জ্যাভেলিন ছুড়ে অলিম্পিক রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন নাদিম। তাঁর কোচ সালমান ইকবাল বাটকেও ১৮ হাজার ডলার অর্থ পুরস্কার দেওয়া হয়।
দিনমজুর বাবার পরিবার থেকে উঠে এসেছেন নাদিম। গতকাল তাঁকে অর্থ পুরস্কারে ভূষিত করার সময় প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, ‘তুমি ২৫ কোটি পাকিস্তানির আনন্দ দ্বিগুণ করেছ। কারণ, আমরা আগামীকাল (আজ) স্বাধীনতা দিবসও উদ্যাপন করব। আজ (গতকাল) প্রতিটি পাকিস্তানি নাগরিকই সুখী এবং দেশের মনোবল আকাশ সমান উচ্চতায় পৌঁছেছে।’
আরশাদ নাদিম বলেছেন, ‘খুব ভালো লাগছে। এখন ফিট থাকতে চাই এবং এক দিন বিশ্ব রেকর্ড ভাঙতে চাই।’