যুব গেমসের মশাল জ্বালালেন ইমরানুর
শেখ কামাল যুব গেমসের ট্র্যাকস্যুট ও ট্রাউজার পরে ইমরানুর রহমান যখন বনানী আর্মি স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে ঢুকলেন, ছোট ছোট জাতীয় পতাকা নেড়ে তাঁকে স্বাগত জানালেন খেলোয়াড়েরা।
আজ সন্ধ্যায় শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মশাল জ্বালালেন কদিন আগেই এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ৬০ মিটারে সোনাজয়ী ইমরানুর।
এর আগে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় ইমরানুরকে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাঁর হাতে ১১ লাখ টাকার অর্থ পুরস্কার তুলে দেন।
গেমসের জন্য বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে আর্মি স্টেডিয়াম। ট্র্যাকের ওপর দিয়ে ধীরে ধীরে হেঁটেছে গেমসের মাসকট বাবুই পাখি। গ্যালারি ছিল অ্যাথলেট আর দর্শকে মুখর।
প্রথমবারের মতো দেশের মাটিতে বড় কোনো গেমসের মশাল জ্বালালেন ইমরানুর। এমন একটা অনুষ্ঠানের অংশ হতে পেরে গর্বিত ইংল্যান্ডপ্রবাসী এই অ্যাথলেট বলেন, ‘এখানে এসে মশাল জ্বালাতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। অবশ্যই এই যুব গেমসের মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্ম যেন সাফল্য পায়, সেই সমর্থন দিতে এখানে এসেছি। ওরা যাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো করতে পারে, সে ব্যাপারে আমি তাদের সাহায্য করতে চাই।’
গেমসে মশাল জ্বালানোর বড় একটা দায়িত্ব পেয়ে কৃতজ্ঞতা ঝরল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রতি, ‘অবশ্যই এটা (মশাল প্রজ্বালন) গেমসের বড় একটা বিষয়। আমাকে বেছে নেওয়ার জন্য বিওএ ও অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনকে ধন্যবাদ।’
ইমরানুরের মশাল জ্বালানোর দৃশ্য গ্যালারিতে বসে উপভোগ করছিলেন স্ত্রী হাফসা মাজহার। দুই বছরের মেয়ে আভা নূর রহমান পাশেই ছিল বেবি সিটারে শোয়ানো। বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ের এই গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসতে পেরে উচ্ছ্বসিত হাফসা বলছিলেন, ‘এখানে থাকতে পেরে দারুণ লাগছে। এটা আমার জন্য অনেক সম্মানের। ইমরান বাংলাদেশের জন্য সাফল্য এনে দিচ্ছে এতে আমি গর্বিত। এখানে তার (ইমরান) সঙ্গে থাকতে পারাটা সত্যি অসাধারণ ব্যাপার।’
ইমরানুরের হাত ধরে বাংলাদেশ যেন আরও পদক জিততে পারে, সেই প্রত্যাশা হাফসার, ‘আমি মনে করি, ইমরানুরকে এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। ওর মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। কারণ, সে জানে, বাংলাদেশের সবাই তাকে সমর্থন দিচ্ছে।’