নারীদের খেলায় দর্শক উপস্থিতির বিশ্ব রেকর্ড এখন ভলিবলের
দর্শক উপস্থিতির রেকর্ডের কথা উঠলে ফুটবল ম্যাচের কথাই সবার আগে মনে পড়ে। ব্রাজিলের বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে তো ১৯৫০ বিশ্বকাপে ব্রাজিল-উরুগুয়ের সেই বিখ্যাত ম্যাচটি দেখেছিলেন প্রায় ২ লাখ দর্শক। ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডেও লাখের কাছাকাছি দর্শক নিয়মিতই হয়।
মেয়েদের খেলাধুলাতেও সবচেয়ে বেশি দর্শক উপস্থিতির রেকর্ড ছিল ফুটবলেরই। ছিল লিখতে হলো কারণ, বাংলাদেশ সময় আজ সকালে ফুটবলের কাছ থেকে সেই রেকর্ড কেড়ে নিয়েছে ভলিবল!
২০২২ সালের ২২ এপ্রিল মেয়েদের চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনা-ভলফসবুর্গ ম্যাচটি মাঠে বসে দেখেছিলেন ৯১ হাজার ৬৪৮ জন দর্শক। ১৬ মাস পর সেই রেকর্ডই যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভলিবল দিবসে’ ভেঙে গেল। দেশটির নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের নেব্রাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেমোরিয়াল স্টেডিয়ামে ভলিবল দেখতে হাজির হয়েছিলেন ৯২ হাজার ৩ জন।
শতবর্ষী মেমোরিয়াল স্টেডিয়ামটি নেব্রাস্কা ফুটবল দলের ঘরের মাঠ। এই মাঠে ছেলেদের ম্যাচ দেখতেও কখনো এত মানুষ জড়ো হয়নি।
সেই মাঠে রেকর্ড গড়ার লক্ষ্য নিয়েই ভলিবল ম্যাচটি আয়োজন করা হয়। নেব্রাস্কা অ্যাথলেটিক ডিপার্টমেন্ট গত ফেব্রুয়ারিতে ৩০ আগস্টকে ‘ভলিবল ডে’ ঘোষণা করে। হাস্কার্স ভলিবল ক্লাবের কোচ জন কুক, নেব্রাস্কা রাজ্যের গভর্নর জিম পিলেন ও নেব্রাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাথলেটিক পরিচালক ট্রেভ আলবার্টস মিলে পরিকল্পনা সাজান রেকর্ড ভাঙার।
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে মেয়েদের খেলাধুলায় আগের রেকর্ডটি ছিল ফুটবলের। ১৯৯৯ সালে নারী বিশ্বকাপ ফুটবলে যুক্তরাষ্ট্র-চীন ফাইনালে প্যাসাডেনার রোজ বোল স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন ৯০ হাজার ১৮৫ জন।
রেকর্ড গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে আয়োজিত হলেও টিকিট কেটেই মাঠে ঢুকতে পেরেছেন দর্শক। প্রাপ্তবয়স্কদের টিকিটের দাম ছিল ২৫ ডলার করে। হাইস্কুলে ছাত্র ও শিশুদের টিকিটের মূল্য ধরা হয় ৫ ডলার করে। তবে কালোবাজারে ৪০০ ডলার ছুঁয়েছিল টিকিটের মূল্য। রেকর্ড গড়তে গিয়ে দুটি ম্যাচ দেখেছেন তাঁরা। প্রথম ম্যাচে অংশ নেয় ওয়েইন স্টেট ও নেব্রাস্কা কিয়ার্নি। দ্বিতীয় ম্যাচে হাস্কার্স ও ম্যাভেরিকস।