বাবা–ভাইয়ের পর অলিম্পিক সোনা জিতলেন কারোলিয়েনও
বাবা জিতেছিলেন ২৮ বছর আগে। ভাই জিতেছেন এক সপ্তাহ আগে। এবার অলিম্পিকে সোনা জিতলেন বোন কারোলিয়েন ফ্লোরিনও। ২৬ বছর বয়সী এই রোয়ার আজ মেয়েদের সিঙ্গেল স্কালসে ৭ মিনিট ১৭.২৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। কারোলিয়েনের ভাই ফিন ফ্লোরিন গত সপ্তাহে ছেলেদের কোয়াড্রপল স্কালসে সোনা জিতেছেন। তাঁদের বাবা রোনাল্ড ফ্লোরিন দুটি অলিম্পিক পদকের মালিক।
শুধু বাবা আর ভাই–বোনই নয়, পুরো ফ্লোরিন পরিবারই আসলে অলিম্পিয়ান। কারোলিয়েন ও ফিনের মা আন্তে রেহাগ। জার্মানির এই রোয়ার ১৯৯৪ ওয়ার্ল্ড রোয়িং চ্যাম্পিয়নশিপে জিতেছিলেন। খেলেছেন ১৯৯৬ আটলান্টা অলিম্পিকেও। ওই আসরেই রোয়িং এইটে সোনা জেতেন কারোলিয়েন–ফিনের বাবা রোনাল্ড।
নেদারল্যান্ডসের এই রোয়ার ১৯৮৮ সিউল অলিম্পিকেও সোনা জিতেছিলেন। সব মিলিয়ে একই পরিবারের চার সদস্যই অলিম্পিয়ান, তিনজনই রোয়িংয়ে সোনাজয়ী।
এর মধ্যে তৃতীয়জন, কারোলিয়েন আজ সোনা জিতেছেন সাবেক চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডের এমা টুইগকে হারিয়ে।
৫০০ মিটার পথের মধ্যে এগিয়ে যাওয়া কারোলিয়েন বাকি পথে একবারও পেছাননি। ২০০০ মিটারের রোয়িং শেষ করেন টুইগের চেয়ে প্রায় দুই সেকেন্ড (১.৪৬) আগে। সোনা জয়ের পর উচ্ছ্বসিত কারোলিয়েন বলেন, ‘আমার কাছে এটা বিশ্বজয়ের মতো। জন্মের পর থেকেই অলিম্পিকে একটা সোনা জিততে চেয়েছি আমি। চেয়েছি বিশ্বসেরা রোয়ারদের ভেতর থেকে মেয়েদের সিঙ্গেল স্কালস জিততে।’
মা–বাবা সাবেক অলিম্পিয়ান হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই রোয়িংয়ের সঙ্গে বেড়ে ওঠা কারোলিয়েনের। প্রতিযোগিতামূলক রোয়িং শুরু করেন ১৪ বছর বয়সে, দক্ষিণ হলান্ডের লেইডেনে থাকাবস্থায়। পরে তিনি আমস্টারডাম স্টুডেন্ট রোয়িং ক্লাব এএসআর নেরিয়াসের হয়ে খেলা শুরু করেন। ২০১৭ সালে চেক প্রজাতন্ত্রে অনুষ্ঠিত ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে আন্তর্জাতিক রোয়িংয়ে শুরু। আর প্রথম আসরেই জেতেন রুপা।
সেই থেকে এখন পর্যন্ত ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ৫টি সোনা, একটি করে রুপা ও ব্রোঞ্জ এবং ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে দুটি সোনা ও একটি করে রুপা ও ব্রোঞ্জ জিতেছেন তিনি। ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে ‘ফোর উইথআউট’ ইভেন্টে জেতেন রুপাও। কিন্তু বাবার মতো অলিম্পিকে সোনা জয় অধরাই ছিল। সেটিই পেয়ে গেলেন আজ।