কোচদের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে শুটার কামরুনের প্রশ্ন
চলতি বছরের এপ্রিলে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম আলোর ক্রীড়া পুরস্কারে ২০২২ সালের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছিলেন শুটার কামরুন নাহার (কলি)। পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির বর্ষসেরা শুটারের পুরস্কারও। পুরস্কারের অনুপ্রেরণায় তাঁর এগিয়ে যাওয়ার কথা সামনে দিকে। উল্টো তিনি নাকি পেছনের দিকে হাঁটছেন। এ নিয়ে গতকাল এক ফেসবুক পোস্টে কামরুন নাহার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ফেডারেশনের কোচদের প্রতি , ‘আমার দ্বারা নাকি আর শুটিং হবে না। আমার নাকি কোনো স্কোর নাই। আমি নামি শুটিংয়ের জন্য আনফিট।’
কেন এমন বলছেন, তা জানিয়ে একটা প্রশ্নও তুলেছেন তিনি, ‘কোনো খেলোয়াড় যদি অনুশীলনে খুব ভালো পারফরম্যান্স করে; কিন্তু কম্পিটশনে ভালো করতে না পারে, তাহলে সেটার জন্য দায়ী কে? প্রথমে কোনো যুক্তি ছাড়াই ধরে নেওয়া হয় খেলোয়াড় দায়ী। কিন্তু খেলোয়াড় যেহেতু অনুশীলনে বিশ্বমানের স্কোর করেছে এর মানে তার মেধা আছে। সে জানে কীভাবে খেলতে হবে এবং সে পারে খেলতে। তাহলে সমস্যাটা কোথায়?’
এই সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব কার প্রশ্ন তুলে কামরুন নাহার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘কম্পিটিশনে খেলোয়াড়দের এই বিশ্বমানের স্কোর ধরে রাখার জন্য কাজ করবে কে? খারাপ করলে খেলোয়াড় দায়ী হলে কোচের কাজ কী? জাতীয় দলের কোচের ভূমিকাটা কোথায়? তিনজন কোচ মিলে যদি একজন খেলোয়াড়ের সমস্যার সমাধান করতে না পারেন, তাহলে আসলে অযোগ্য ব্যক্তি কে?’
২০২২ সালের অক্টোবরে কায়রোতে বিশ্বকাপ শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে কামরুন ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে অল্পের জন্য সেরা আটে জায়গা করে নিতে পারেননি। ২৩ বছর বয়সী বাংলাদেশের এই শুটার ১৩৫ জনের মধ্যে ১৪তম হয়েছেন। স্কোর করেছেন ৬২৯ দশমিক ২। বিশ্বমঞ্চে বাছাইয়ে এটাই বাংলাদেশের কোনো শুটারের সেরা স্কোর। এরপরও অলিম্পিকে যেতে পারেননি বলে তাঁর হতাশা আছে।
এরপর গত বছর জাকার্তায় বিশ্বকাপ শুটিংয়ে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের বাছাইয়ে ষষ্ঠ হয়ে ফাইনালে (সেরা আট) ওঠেন কামরুন। শেষ পর্যন্ত ফাইনালে হয়েছেন অষ্টম। তারপরও বিশ্বকাপে কামরুনের পারফরম্যান্সকে সেই সময় ‘ইতিহাস’ বলেছিলেন সাবেক শুটার শারমিন আক্তার রত্না, ‘আমরা কখনো বিশ্বকাপ শুটিংয়ে ফাইনাল রাউন্ডে খেলতে পারিনি। কলি সেটি করে দেখাল। আমরা শুটিং অঙ্গন নিয়ে দারুণ গর্বিত।’ সেবার কামরুন নাহার ১০ মিটার এয়ার রাইফেল কোয়ালিফিকেশনে ষষ্ঠ হন। ৬২৮.৪ স্কোর করেন।