লরাঁ ও সেসিল লান্দির জন্য পারিবারিক এক অলিম্পিক
লরাঁ লান্দি ও সেসিল লান্দি, নাম দুটি শুনেই হয়তো বুঝে গেছেন, দুজনের মধ্যে কোনো না কোনো সম্পর্ক আছে। হ্যাঁ, তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। দুজনই ছিলেন ফ্রান্সের জিমন্যাস্ট দলের সদস্য। একজন পুরুষ দলের, অন্যজন নারী দলের। লরাঁর জন্ম ফ্রান্সে হলেও তিনি যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিক। আর তাঁর স্ত্রী সেসিল ফ্রান্সের নাগরিক। ফ্রান্সের হয়ে অংশ নিয়েছেন ১৯৯৬ অলিম্পিকে।
এবার অলিম্পিক হচ্ছে তাঁদের দেশ ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে। ৪৬ বছর বয়সী লরাঁ ও ৪৪ বছর বয়সী সেসিলও আছেন এই অলিম্পিকে। থাকবেন জিমন্যাস্টিকস ফ্লোরের পাশে। তাঁরা দুজনই যে যুক্তরাষ্ট্রের জিমন্যাস্ট সিমোনে বাইলসের কোচ। এবারের অলিম্পিকে ফ্রান্সের ডাইভিং দলে আছেন তাঁদের ১৭ বছর বয়সী মেয়ে জুলিয়ে লান্দিও। সব মিলিয়ে লান্দি পরিবারের জন্য এবারের প্যারিস অলিম্পিকটা পারিবারিকই।
জিমন্যাস্টিকসে বাইলসকে সোনা জেতাতে সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন দুই লান্দি, লরাঁ ও সেসিল। অন্যদিকে তাঁরা প্রার্থনা করবেন ডাইভিংয়ে সিনক্রোনাইজড ৩ মিটার স্প্রিংবোর্ড ইভেন্টে মেয়ে জুলিয়ে যেন ভালো করেন।
বাইলস আর তাঁর যুক্তরাষ্ট্র দলের সতীর্থদের অনুশীলন করানোর পর সেসিল লান্দি এমন একটি অভিজ্ঞতার বিষয়ে বলেছেন, ‘আমি এই স্বপ্ন কখনোই দেখিনি। আমরা দুজন (স্বামী-স্ত্রী) ফ্রান্সে, প্যারিসে অলিম্পিক ভিলেজে...কান্না থামিয়ে রাখার চেষ্টা করছি আমি।’
একজন জিমন্যাস্ট ও কোচ হিসেবে লম্বা ক্যারিয়ার কাটানোর পর অলিম্পিকে টেনিসের রাফায়েল নাদাল ও সাঁতারের কেটি লেডেকির মতো তারকাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার অভিজ্ঞতায় আরও একবার আপ্লুত সেসিল, ‘এটা পাগলাটে, কিন্তু অলিম্পিক এ রকমই। সবাইকে দেখতে পাওয়াটা অসাধারণ এক ব্যাপার।’
সেসিল লান্দি এরপর যোগ করেন, ‘এসব অ্যাথলেটের পাশে থাকতে পারাটা দারুণ। এখানে সবাই একই কারণে এসেছে, অলিম্পিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এবং আমার কাছে এটা অসাধারণ ব্যাপার।’