ফটো ফিনিশে ১০০ মিটার পেরোনোর পর ট্রেবলে চোখ লাইলসের
প্যারিস অলিম্পিকে ১০০ মিটার স্প্রিন্ট জেতার পর এবার নোয়াহ লাইলসের চোখ ‘ট্রেবল’-এর দিকে। মানে ২০০ মিটার ও ৪x১০০ মিটার রিলের সোনাও জিততে চান যুক্তরাষ্ট্রের স্প্রিন্টার।
গতকাল রাতে স্তাদ দে ফ্রান্সে রোমাঞ্চকর এক রেসে ১০০ মিটার জিতে অলিম্পিকে নিজের প্রথম সোনা পেয়েছেন লাইলস। রেসটি শেষ হয়েছে ফটো ফিনিশে। জ্যামাইকার কিশানে টম্পসনকে এক সেকেন্ডের ১ হাজার ভাগের ৫ ভাগের ব্যবধানে (০.০০৫) হারিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী স্প্রিন্টার। আধুনিক যুগে অলিম্পিকের ইতিহাসে এত সূক্ষ্ম ব্যবধানে এর আগে ১০০ মিটারের সোনা নির্ধারণ হয়নি।
বুদাপেস্টে গত বছর হয়ে যাওয়া ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে তিনটি সোনা জিতেছিলেন লাইলস। এবার অলিম্পিকেও সেটি করে দেখাতে চান বলে রোমাঞ্চকর জয়ের পর বলেছেন, ‘মিথ্যা বলব না, আমি বেশ আত্মবিশ্বাসী।’
সর্বশেষ অলিম্পিক স্প্রিন্টে সোনার এমন ট্রেবল জয়ের রেকর্ডটি কিংবদন্তি উসাইন বোল্টের। ২০১২ সালে লন্ডনের পর ২০১৬ সালে রিওতেও এমন কীর্তি গড়েছিলেন বোল্ট। এবার বোল্টের সেই কীর্তির পুনরাবৃত্তি করতে চান লাইলস।
২০০ মিটারে টানা তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন লাইলস এ ইভেন্টের আগে বেশ আত্মবিশ্বাসী, ‘আমি জিততেই থাকব। অন্য কেউই জিতছে না। আমি যখন মোড়টা ঘুরব, তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বে।’
১০০ মিটারে নিজের সেরা টাইমিং গড়েই জিতেছেন লাইলস। তবে সেমিফাইনালে ৯.৮৩ সেকেন্ড টাইমিংয়ের পরই তিনি বুঝেছিলেন, ভালো কিছুই আসতে চলেছে। তিনি বলেছেন, ‘যখনই এটা দেখেছি, আমি জানতাম আমাকে হারানো কঠিন হতে যাচ্ছে, আমি ব্যক্তিগত রেকর্ড গড়তে যাচ্ছি।’
লাইলস বলেন, ‘আমার থেরাপিস্টকে কল করেছিলাম। সে বলল, “তোমাকে এগোতে হবে, উড়তে হবে।” আমি বলেছি, “আচ্ছা, তোমার কথাই বিশ্বাস করলাম।”’
সে থেরাপি কাজে দিয়েছে, বলতেই হবে। এখন ২০০ মিটারের পর ৪x১০০ মিটার রিলের অপেক্ষা লাইলসের। যিনি টোকিও থেকে ফিরেছিলেন ২০০ মিটারে একটা ব্রোঞ্জ নিয়ে। তবে এই কয়েক বছরে তিনি বদলে গেছেন বলে দাবি লাইলসের, ‘ঈশ্বর, অবশ্যই এটা ভিন্ন একজন নোয়াহ—শতভাগ।’
নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে বলেও জানান তিনি, ‘আমি মোটেও এখন হতাশাগ্রস্ত নই। ভুল বুঝবেন না, আমি চাপ অনুভর করি। নিশ্চয়ই মুহূর্তের তাৎপর্য বুঝি। অনেক কিছুই সামলাতে হয়। আমি টোকিওতে রাউন্ড সামলাতে গড়বড় করে ফেলেছিলাম। তখন থেকেই ভেবেছি, আর কখনোই এমন করব না। ঠিকঠাক সামলাব, অনুশীলন করব।’
২০০ মিটারে লাইলসের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন স্বদেশি কেনি বেডন্যারেক। তাঁকে নিয়ে লাইলস বলেন, ‘কেনি ট্রায়ালে ভালো একটা টাইমিং গড়েছে। আর সেটিই অবধারিতভাবে আমাকে জাগিয়ে তুলেছে। আমি তাকে নিয়ে গর্বিতও। সে এখানে ১০০ মিটারে যা করেছে, তাতে সন্তুষ্ট থাকবে না। নিশ্চিতভাবেই সে ২০০ মিটারের পেছনে ছুটবে। কারণ, সে জানে তার সামর্থ্য আছে।’