১০ মিটার এয়ার রাইফেলের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন নিয়ে প্যারিস অলিম্পিকে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের শুটার রবিউল ইসলাম। স্বপ্নপূরণের জন্য তাঁকে বাছাইপর্ব শেষে থাকতে হতো সেরা আটে। কিন্তু সেরা আট দূরের কথা, ৪৯ জন শুটারের মধ্যে ৪৩তম হয়ে রবিউল বিদায় নিয়েছেন প্রতিযোগিতার বাছাইপর্ব থেকেই।
বাছাইপর্বে রবিউল স্কোর করেছেন মাত্র ৬২৪.২, যেটা তাঁর ব্যক্তিগত সেরা স্কোরেরও (৬২৮) ধারেকাছে নেই। প্রথম সিরিজে ১০৫.৫ করার পর বাকি পাঁচ সিরিজে তাঁর স্কোর ১০৩.২, ১০৩.৫, ১০৩.৪, ১০৪.৭ ও ১০৩.৯।
প্যারিসে আজ ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের বাছাইয়ে সর্বোচ্চ ৬৩১.৭ স্কোর করেছেন চীন ও আর্জেন্টিনার দুই শুটার। ভারতের অর্জুন বাবুতা ৬৩০.১ স্কোর করে সপ্তম হয়ে পেয়েছেন ফাইনালের টিকিট। ৬২৯.৮ স্কোর করে অষ্টম হয়ে ফাইনালে উঠেছেন ক্রোয়েশিয়ার শুটার পিটার গর্সা। এই ইভেন্টের ফাইনাল আগামীকাল।
১০ মিটার এয়ার রাইফেলের বাছাইয়ে রবিউল নিজের সেরা ৬২৮ স্কোর করেছিলেন এ বছরের জানুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়া অলিম্পিক বাছাইয়ে। প্যারিসে নিজেকে ছাপিয়ে যেতে পারলে সেরা আটে পৌঁছানো অসম্ভব কিছু ছিল না। কিন্তু বড় মঞ্চে বাংলাদেশের শুটাররা যে স্নায়ুচাপের কাছে হেরে যান, রবিউল আবারও প্রমাণ করলেন সেটাই।
গত দুটি অলিম্পিকে ছেলেদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছিলেন আবদুল্লাহ হেল বাকি। ২০২১ টোকিওতে ৪৭ জনের মধ্যে ৪১তম হয়েছিলেন বাকি। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে ৫০ জনে ২৫তম। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে বাংলাদেশ থেকে শুটিংয়ে ছেলেরা কেউ সুযোগ পাননি। মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের বাছাইয়ে খেলেছেন শারমিন আক্তার (রত্না)। ৫৬ জনের মধ্যে ২৭তম হয়েছিলেন তিনি।
অলিম্পিক গেমসে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো শুটার সরাসরি খেলতে পারেননি। যে আটজন অংশ নিয়েছেন, প্রত্যেকেই গেছেন ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে।