সতেরোতেই সোনার হাসিতে উপভোগের মন্ত্র ম্যাকিনটোশের

সামার ম্যাকিনটোশএএফপি

গতকাল মেয়েদের ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত মেডলিতে সোনা জিতেছেন। প্যারিস অলিম্পিকে এর আগে রুপা জিতলেও অলিম্পিকে এটাই তাঁর প্রথম সোনা জয়।

সামার ম্যাকিনটোশ ২০০ মিটার মেডলি ও ২০০ মিটার বাটারফ্লাইতেও ফেবারিট। ১৭ বছর বয়সী কানাডিয়ান এই সাঁতারু অবশ্য আগেই এত চাপ নিতে চাইছেন না। অলিম্পিকের মঞ্চটাকে শুধুই উপভোগ করতে চাইছেন।

প্যারিসের লা ডিফেনস অ্যারেনায় গতকাল ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত মেডলিতে ম্যাকিনটোশ সময় নিয়েছেন ৪ মিনিট ২৭.৭১ সেকেন্ড। এই ইভেন্টে এটি চতুর্থ দ্রুততম টাইমিং। তবে নিজের গড়া বিশ্ব রেকর্ড (২০২৪ সালে ৪ মিনিট ২৪.৩৮ সেকেন্ড) এবং কাতিনকা হসজুর অলিম্পিক রেকর্ড (রিওতে ৪ মিনিট ২৬.৩৬ সেকেন্ড) থেকে বেশি সময় নিয়েছেন ম্যাকিনটোশ। সাঁতারের এই ইভেন্টে ৪ মিনিট ৩৩.৪০ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপা জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেটি গ্রিমস। আর ৪ মিনিট ৩৪.৯৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ যুক্তরাস্ট্রেরই ওয়েয়ান্তের।

মেয়েদের ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত মেডলিতে সোনা জেতার পর ম্যাকিনটোশ
এএফপি

এর আগে মেয়েদের ৪০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে ৩ মিনিট ৫৮.৩৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপা জেতেন ম্যাকিনটোশ। গতকাল সোনা জয়ের পর বলেছেন, ‘যতটা পারি উপভোগ করতে চাই। কারণ, এই মুহূর্তগুলো প্রতি চার বছরে একবারই আসে। তাই কানাডা দলকে গর্বিত করার চেষ্টা করছি।’

আরও পড়ুন

ম্যাকিনটোশের সেরা হওয়ার পথে যাত্রা শুরু করোনা মহামারির কারণে বিলম্বিত ২০২০ টোকিও অলিম্পিক থেকে। তখন ১৪ বছর বয়সী এই সাঁতারু টোকিওতে ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে চতুর্থ হয়েছিলেন। তিন বছরের ব্যবধানে সেই ম্যাকিনটোশ এখন অভিজ্ঞ সাঁতারুদের একজন।

জানিয়েছেন, বড় মঞ্চে ভালো করার ব্যাপারে তিন বছর আগে অনুষ্ঠিত টোকিও অলিম্পিকের অভিজ্ঞতা তাঁর কাজে লেগেছে। ম্যাকিনটোশ বলেন, ‘যতবারই বিশ্বমঞ্চে খেলি, কীভাবে পরিস্থিতি সামলাতে হবে, সেটা সম্পর্কে আরও বেশি করে শিখি। সেটা মানসিকভাবে, শারীরিকভাবে ও আবেগের জায়গা থেকে। খুব বেশি উত্তেজিত হই না, ভেঙেও পড়ি না। নিজের ফলের ওপর নির্ভর করি।’

আরও পড়ুন

ব্রোঞ্জজয়ী এমা ওয়েয়ান্ত ম্যাকিনটোশের প্রশংসা করে বলেন, ‘তার মান দুর্দান্ত। সে আমার পুরোনো ক্লাবের সঙ্গে অনুশীলন করছে, তার মানে হলো সঠিক হাতেই পড়েছে। সে ধারাবাহিকভাবে দারুণ পারফর্ম করছে।’

মেয়েদের ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত মেডলিতে পদক পাওয়া তিন সাঁতারু
এএফপি

ম্যাকিনটোশের ভাবনায় অবশ্য শুধু পদক জয়ই নেই। নিজের সাঁতার দিয়ে তিনি অনুপ্রাণিত করতে চান উঠতিদেরও,‘ছোটদের যতটা সম্ভব অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আশা করি, তারা সেটা জানে। আমি যা করতে পারি, সেটা তারাও পারবে। একসময় তাদের মতো বয়সে রিও অলিম্পিক দেখেছি। ৮ বছর পর আমি এখানে। তাই যতটা সম্ভব অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি।’